লোমহর্ষক ঘটনায় দ্রুত সময়ে আসামি ধরায় প্রশংসায় ভাসছে এসপি

আলোচিত নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতি হত্যা মামলায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করায় প্রশংসায় ভাসছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম (পিপিএম)। এর আগেও ক্লুলেস বিহীন অনেক হত্যার ঘটনায় রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হন এসপি মোঃ শহীদুল ইসলাম। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবি দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
জানা যায়,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুরের নিজ বাসায় তাসনিয়া হোসেন অদিতিতে প্রথমে ধর্ষণ পরে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করা হয়। রাত ৯ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অদিতি নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার আবুল খায়ের পেশকার বাড়ির মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
দ্রুত সময়ে ৬ ঘন্টায় পুলিশ আসামি গ্রেফতার করায় জেলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসপির প্রশংসা করছে।ফেসবুকে তাবাসসুম ফারহানা নামে এক স্কুল ছাত্রী লিখছেন। ধন্যবাদ জানায় পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম স্যারকে। শিক্ষক নামের কুলাঙ্গার রনিকে ধরার জন্য ও অন্যান্য আসামি ধরার জন্য মন থেকে দোয়া করি স্যার আপনার জন্য। তবে আমাদের অদিতি হত্যাকারীদের আমরা ফাঁসি চাই। ফাঁসি যেনো হয় সে ব্যবস্থা করবেন স্যার। আব্বু,আম্মু আপনার প্রশংসা করে অনেক।আপনার কাছে একটাই দাবি এদের ফাঁসি নিশ্চিত করবেন যেনো অদিতির আত্মা শান্তি পায়।
আমরা গোলাপ সংগঠনের সমন্বয়ক মুনিম ফয়সাল বিডি২৪লাইভকে বলেন, ঘটনাটা অত্যন্ত জঘণ্য কাজ। সুস্থ মানুষের পক্ষে এসব করা সম্ভব না। নেশাগ্রস্ত মানুষের পক্ষে সবই সম্ভব। আসামিরা পূর্বেও অদিতির পরিবারকে হুমকি দিয়েছে। সমাজের জনপ্রতিনিধিরা কি ভূমিকা রাখছে সেটাই প্রশ্ন থেকে যায়। একটা অপরাধ আরেকটা নতুন অপরাধের জন্ম দেয়। আমরা অপরাধমুক্ত নোয়াখালী চাই।যেখানে থাকবে না কোনো সন্ত্রাস, খুনি, মাদকাসক্ত নানা অপরাধে জড়িত মানুষেরা। প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
আমরা মানুষরাই সচেতন না।সবাইকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। একজন বিপদে পড়লে আরেকজন এগিয়ে আসি না এসব সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হব। মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তাইলেই সমাজ অপরাধমুক্ত হবে। আর নিঃসন্দেহে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম স্যার অল্প সময়ে আসামি গ্রেফতার করায় অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন ও প্রশংসার দাবিদার।নোয়াখালীতে আমরা ভালো মনের একজন এসপি পেয়েছি।
নোয়াখালী জেলার ক্রাইম কন্টোল পুলিশ সুপার এসপি মোঃ শহীদুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে জানান,দেখুন অপরাধ যেনো সংগঠিত না হয় সেজন্য পুলিশ রাতদিন অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ডিউটি পালন করে।আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি সমাজে যেনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রত্যেকটি কাজ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে। নৃশংসভাবে অদিতি হত্যায় আসামি গ্রেফতার করতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। এক্ষেত্রে পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, সিআইডি, পিবিআই অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থারাও মাঠে কাজ করছে।প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে অদিতির সাবেক শিক্ষক ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় আদালত আসামি রনিকে ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে কোনো এ পৈশাচিক অত্যাচার করে অদিতিকে হত্যা করা হয়েছে।কারা কারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তদন্তের শেষে জানানো হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: