প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

মোঃ আসাদুজ্জামান

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অপসারন দাবি

   
প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বরগুনার বামনার বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত ও কর্মচারীদের কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। বন্ধ রয়েছে, কলেজের পাঠদান। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ বজলুল গাফফার যায়গাম আহসানকে অপসারনের দাবীতে শনিবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি লেমুয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. জিয়াউল করিম। তিনি বলেন, বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ বজলুল গাফফার যায়গাম আহসান নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে কলেজ চালাচ্ছেন। ইচ্ছেমতো কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত করেন।

শিক্ষক-কর্মচারীদের শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আশ্রাফুল হাসানকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত ও অফিস সহায়ক উজ্জল হাসানকে চাকরীচ্যুত করার জন্য অধ্যক্ষকে নোটিশে উল্লেখ করে সভা ডাকার জন্য বলেন। অধ্যক্ষ মহসীন কবির বিধি বহির্ভূতভাবে এজন্ডা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সভাপতি শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কলেজ থেকে বের করে দেন। পরে নাসিমা বেগম নামে সহকারি অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে বলেন। নাসিমা বেগম অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।

বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহসীন কবির জানিয়েছেন, তিনি সভাপতির অবৈধ কর্মকান্ডের অংশীদার হতে চাননা। তাই তাকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। আগেও একবার মহসীন কবিরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাগরিকা কর্মকারকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো।

সাগরিকা কর্মকার জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালে তাকে দিয়েও বিধি বহির্ভূত কাজ করানো হয়েছে। তিনিও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন।

এ বিষয়ে নতুন দায়িত্ব পাওয়া নাসিমা বেগম বলেন, তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেবেননা। তিনিও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির অপসারন চান।

অফিস সহায়ক রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাকে যেতে দেরী হওয়ায় তাকে শারিরিক লাঞ্ছনাসহ ৫০ বার কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে।

আরেক অফিস সহায়ক জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে লঞ্চঘাট থেকে নিয়ে আসতে দেরী করায় তাকের শারিরিক লাঞ্ছনাসহ ১০০ বার কান ধরে উফবস করানো হয়েছে। অফিস সহকারি সাইদ হোসেন রিপন জানিয়েছেন, তাকে একাধিকবার সভাপতির মার খেতে হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তাদের একটাই দাবী। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ বজলুল গাফফার যায়গাম আহসানকে অপসারন না করা পর্যন্ত তারা শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে বিরত থাকবেন।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: