অপরাধ দমনে ক্রাইম জোনগুলোতে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছি: এসপি

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৩০ পিএম

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত অদিতি হত্যা ও কিশোর গ্যাংদের নানা অপরাধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হওয়ায় নোয়াখালী জেলায় বিভিন্ন অপরাধ দমনে ক্রাইম জোনগুলোতে দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম পিপিএম।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ কথা বলেন এসপি। আসমা নামের এক অভিভাবক বিডি২৪লাইভকে বলেন, অদিতি হত্যাকান্ড মধ্যযুগকে হার মানিয়েছে। বাড়িতেই মেয়েরা নিরাপদ নয়। স্কুলে পথে ঘাটে ইভটিজিংয়ের স্বীকার হয় আমাদের মেয়েরা। কিশোর গ্যাংদের উৎপাদ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। মেয়েরা স্কুল ও বাড়িতে নিরাপদ নয়। কখন কি হয় সারাক্ষণ টেনশনে থাকি। এসব গ্যাংদের রাজনৈতিক নেতা ও ভাইয়া শেল্টার দেয়। এদের শাস্তি দেওয়া উচিত। যেনো এসব কাজ করতে সাহস না পারে। প্রশাসনের আরোও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। অদিতি হত্যায় আসামি ধরায় প্রশাসন ও নোয়াখালী এসপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম পিপিএম বিডি২৪লাইভকে বলেন, অপরাধ দমনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ক্রাইম জোনগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৬০টি ক্রাইম স্পটে দুইশত অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছি। ধারাবাহিকভাবে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হবে। মূলত অপরাধী শনাক্তকরণে কোথায় কি হচ্ছে সার্বক্ষণিক আপডেট রাখার জন্য সুধারাম থানা ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসন সেটা পর্যবেক্ষণ করবে। এতে অপরাধী শনাক্তকরণে সহজ হবে। সমাজে অপরাধ হ্রাস পাবে। আপনারা জানেন আমরা ৬ ঘন্টায় চাঞ্চল্যকর অদিতি হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

কি বা কেন এ হত্যা করেছে তার গৃহশিক্ষক বা তার সাথে কে কে ছিলো কার নির্দেশে এ হত্যাকান্ড করেছে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে। আলোচিত এ মামলায় একযোগে থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই, সিআইডি যৌথভাবে কাজ করেছে। তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে সন্দেহকারী শিক্ষক রনি, পরে আসামী মো.সাঈদকে (২০) ও ইসরাফিলকে আটক করা হয়। আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় আদালত আসামিদের ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে। আজ প্রথমদিন রিমান্ডে আসামিরা কিছু তথ্য দিয়েছে। আরো তথ্য জেনে পরবর্তী জানানো হবে।

উল্লেখ্য, নিহত ওই স্কুল ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪) নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে অদিতির বাড়িতে শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াগণও প্রতিদিনের ন্যায় দরজা বন্ধ থাকায় তারাও কিছু অনুমান করতে পারেনি। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা দরজা খুলে ভিকটিমের রুম বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমকে খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা বাসার পেছনের দিকে জানালা দিয়ে দেখে তার মেয়ে গলাকাটা রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের মা তার মেয়েকে রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: