বিচারক দম্পতির খাবারে বিষ দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন ভাতিজি

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বিচারক দম্পতির সকালের নাশতায় বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে ভাতিজি (১৪)। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন বিচারক জুয়েল অধিকারী। এরপর থেকে কিশোরী ও তার প্রেমিকের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীরা জুয়েল অধিকারী ও জয়ন্তী রাণী দাস। পলাতক কিশোরী বিচারক জয়ন্তী রাণী দাসের ভাই মানিক চন্দ্র দাসের মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাগুরহাটা এলাকায়।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন বিচারক জুয়েল অধিকারী ও তার স্ত্রী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রাণী দাস। পরে অবস্থা গুরুতর থাকায় একই দিনই আইসিইউতে নেওয়া হয় জুয়েলকে। তবে বিচারক জয়ন্তী রাণী দাসের অবস্থা ততটা গুরুতর না হওয়ায় তাকে হাসপাতালের কেবিনে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, বিচারক দম্পতি রা জুয়েল অধিকারী ও জয়ন্তী রাণী দাসের পাকস্থলী থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে বিষক্রিয়ার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খুব অল্প পরিমাণে বিষক্রিয়া হওয়ায় তা পরীক্ষায় ধরা পড়েনি।

নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রেমিকের হাত ধরে ঘরও ছেড়েছিল কিশোরী। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়েছে। ওই সম্পর্ক থেকে ভাতিজিকে ফেরাতে রাজশাহীতে নিজের বাসায় এনে রেখেছিলেন বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস।

তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার সকালের নাশতায় ওই কিশোরী কিছু একটা মিশিয়েছে। এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ছেলের সঙ্গে চলে গেছে কিশোরী। তবে খাবারের সঙ্গে কি মেশানো হয়েছিল, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তারা।

ইমদাদ/সাএ