অপারেশন থিয়েটারে দুই চিকিৎসকের মারামারি

ছবি - সংগৃহীত
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে দুই চিকিৎসকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রায় দুই ঘন্টা বন্ধ ছিলো অপারেশন থিয়েটার, এতে দুর্ভোগে পড়েন সেবাগ্রহীতা। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার জেনারেল সার্জারি এবং গাইনি ও প্রসূতি অপারেশন থিয়েটারে এমন ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামালপুর জেনারেল হাসপাতেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান- জুনিয়র কনসালটেন্ট নাহিদুল কাদির এনেস্থেসিয়ান ও একই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামসুর রহমানের মধ্যে অপারেশন থিয়েটারে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ডা. নাহিদুল কাদির অধ্যাপক ডা. তাইজুল ইসলামকে ডেকে আনলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডা. তাইজুল ইসলাম অপারেশন থিয়েটারের ভিতরেই চড়াও হয়ে শার্টের কলার ধরে শামসুর রহমানকে কিলঘুষি মারতে থাকেন।
সেবাগ্রহীতা (অপারেশন থিয়েটার থেকে ফেরত আসা রোগী) ঝর্ণা বেগমের স্বামী বাবুল হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীকে সকাল ৯টার দিকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপর ঝর্ণাকে অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমে রাখা হয়। হঠাৎ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে গণ্ডগোল শুরু হয়। সাথে সাথে অপারেশন থিয়েটারের কেচিগেট লাগিয়ে দেয় সেখানকার লোকজন। দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অপারেশন থিয়েটার খোলা হয়। এসব গন্ডগোলের কারণে ঝর্ণার অপারেশন আর করেননি ডাক্তাররা।
এ ব্যাপারে জানতে ডা. তাজুল ইসলাম ও নাহিদুল কাদিরের সঙ্গে মোবাইলে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে দুই ডাক্তারের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি বসে সমাধান করা হয়েছে। এখন অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে।
আশরাফুল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: