গালা ইউনিয়ন পরিষদ স্থানান্তরের গুঞ্জনে শাহজাদপুরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৯ পিএম

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গালা ইউনিয়ন পরিষদ স্থানান্তরের প্রস্তুতির ঘটনায় গালা ইউনিয়নে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে গালা ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে প্রায় ২৫ গ্রামবাসীর আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বর আবুল কাশেম, ফজলুল হক, মোজাম্মেল হক, তোতা মিয়া, সাইদুল ইসলাম, আবু সাঈদ প্রমূখ। এসময় গালা ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমি আপনাদের ডাকে আজ এই প্রতিবাদ সভায় এসেছি। কারণ আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে নৌকার পক্ষে কাছ করে নৌকাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন। আরমাত্র এক বছর পরে আবারও সংসদ নির্বাচন হবে। সেখানেও আপনারা নৌকার পক্ষে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। বর্তমানে শাহজাদপুরে যিনি এমপি রয়েছেন তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে উন্ননের জন্য যেভাবে দেশে বিদেশে সমাদৃত হচ্ছেন। তেমনি আমাদের এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা শাহজাদপুরের সর্ব সেক্টরে উন্নয়নের মাধ্যমে সব মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতাকে আবার যদি আমরা এমপি বানাতে পারি অবশ্যই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মন্ত্রীত্ব চেয়ে নিতে পারবে। এদিকে আমাদের বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ভাই। যিনি এমপি থাকাবস্থায় যমুনা নদী শাসন করে আমাদের গালা ইউনিয়নকে রক্ষা করে ছিল। তিনি আরো বলেন, আমি গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের স্থানান্তর ও আপনাদের প্রতিবাদের বিষয়টি এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে জানাবো। অবশ্যই তারা আপনারদের বিষয়টি দেখবে।

অন্যান্য বক্তরা বলেন, প্রায় ৬০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত ৫৩ শতক জায়গার উপর অবস্থিত গালা ইউনিয়ন পরিষদ। ম্যাপ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদটি ইউনিয়নের মাঝখানে অবস্থিত। সেই ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য এখন চারতলা ভবনের বরাদ্দ হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় ভবন তৈরি না করে তার নিজগ্রামে বাড়ীর কাছে ভবন তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ স্তানান্তরের চেষ্টা করছেন। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এর জন্য আমরা স্থানীয় এমপি, উপজেলা প্রশাসন ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবো। আমাদের দাবী ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন ৬০বছরের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদেই হবে। জায়গা কম পড়লে আমরা এলাকাবাসী জায়গা দেব। তবু আমরা ইউনিয়ন পরিষদ এখান থেকে স্থানান্তর হতে দেব না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: