প্রচ্ছদ / স্পোর্টস / বিস্তারিত

ফুটবলার আঁখির জমির মামলা প্রত্যাহার

   
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্য আঁখি খাতুনের ৮ শতাংশ জমির উপর যে মামলা ছিল, সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে মামলার বাদী। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার হাজী মকরম প্রামাণিক। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। বর্তমানে ফুটবলার আঁখিকে বরাদ্দ দেওয়া ওই জমি নিষ্কণ্টক।

এদিন বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আঁখিকে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৮ শতাংশ জমির প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ৪ জুন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার জমির দলিল হস্তান্তর করেন। সম্প্রতি হাজী মকরম প্রামাণিক ওই জমি তাদের দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা করেন। তবে মামলার তফসিলে তিনি খতিয়ান উল্লেখ বা জমির মালিকানা দাবি করেননি।

প্রসঙ্গত, প্রায় তিন বছর আগে ফুটবলে অবদান এবং দরিদ্র পরিবারের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় আঁখিকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জমির মালিকানা দাবি করে শাহজাদপুরের একজন ব্যবসায়ী মামলা দায়ের করেন। জমি নিয়ে সমস্যার কথা আঁখি বাফুফে সভাপতিকে জানালে তারা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ওই জমির বরাদ্দ বাতিল করে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ৮ শতাংশ জমি আঁখির নামে বরাদ্দ দেয়। গত ৪ জুন এই জমির দলিল আখির পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। সম্প্রতি আঁখি খাতুনকে বরাদ্দ দেওয়া সেই জমির দখল নিয়ে হাজী মকরম প্রামাণিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আঁখিসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।

পরবর্তীকে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলার নোটিশ নিয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশিদ ও কনস্টেবল আবু মুসা আঁখির গ্রামের বাড়িতে গেলে তার বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আঁখির বাবাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জসহ দেশব্যাপী সমালোচনা হয়। পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেন। এ ঘটনার পাঁচদিন পর স্ব-ইচ্ছায় বাদী মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রেজানুল/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: