জয়পুরহাটে দিনে দুপুরে গৃহকর্তী খুন: স্বর্ণালংকার-টাকা লুট

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৮ পিএম

জয়পুরহাট জেলা শহরের জানিয়ার বাগান নামক মহল্লায় আজ মঙ্গলবার দিনে দুপুরে সাজেদা আকতার নামে এক গৃহকর্তীকে খুন করে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা লুট করার ঘটনা ঘটেছে।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, শহরের জানিয়ার বাগান এলাকায় জয়পুরহাট চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল আহসান ও ডা: পারভীন আকতার দম্পতির বাসার ৫ম তলার ভাড়াটিয়া গৃহকর্তী সাজেদা আকতার (৩৮) মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী আরিফা খাতুনকে নিয়ে ৮/৯ মাস ধরে বসবাস করে আসছেন। স্বামী হাফিজুল ইসলাম সিলেটে একটি পেপার মিলে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরী করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এসএসসি পরিক্ষা শেষে বাসায় ফিরে মায়ের মৃত দেহ দেখে চিৎকার কওে আরিফা। এ সময় বাসার মালিকসহ অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দ্রুত আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

জয়পুরহাট থানার এস আই সরওয়ার জানান, সাজেদা আকতারের মুখে কসটেপ লাগানো ও গলায় কাপড় পেঁচানো এবং দুহাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘরের আলমারি ভাঙ্গা ও কাপড় চোপড়সহ জিসিনপত্র এলো মেলো দেখা যায়। তাতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা লুট করার জন্য এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে এই ধারনা করছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো ব্যবস্থা করে। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত বা প্রকৃত কি ঘটনা তা দ্রুত উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে বলে জানান, জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম। অপরদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ফারজানা রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সাজেদা আকতারের সঙ্গে বসবাস করা এসএসসি পরিক্ষার্থী মেয়ে আরিফা খাতুন জানান, এসএসসি পরিক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মায়ের নিকট থেকে দোয়া নিয়ে মা সাজেদা আকতারকে একাই বাসায় রেখে যায়। পরিক্ষা দিয়ে দুপুরে বাসায় ফিরে দেখি দরজা খোলা অবস্থায় পেয়ে। মা মা বলে ডাকতে ডাকতে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এরপর দেখে উত্তর পাশের ঘরে মা হাতবাধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তখন চিৎকার দেয়। কথা বলতে বলতে আরিফা জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। খবর পেয়ে ছুটে আসা সাজেদা আকতারের শ্বশুর এ টি এম নূর ইসলাম বলেন, আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো। আমার বউমা সাজেদা খুবই শান্ত প্রকৃতির মানুষ।

কার সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখিনি। ঘটনার পর থেকে কাজের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি। ৪/৫ দিন হচ্ছে নীনা (২৭) নামে একটি মেয়ে ওই বাসায় কাজে যোগ দেয় বলে জানায়, মেয়ে আরিফা খাতুন। পুলিশ কাজের মেয়ে নীনাকে খুঁজছে। তাৎক্ষনিক ভাবে সিআইডি, সদর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা খুনের মোটিভ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, ওই বাসার কাজের

পুরানো মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুতই ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। স্ত্রী সাজেদা আকতারের খুন হওয়ার খবর পেয়ে স্বামী হাফিজুল ইসলাম সিলেট থেকে রওনা দিয়েছেন বলে জানান, ছোট ভায়রা ভাই জিয়াউর রহমান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: