চিকিৎসক পদবী ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করতেন তারা

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০৪ এএম

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় চিকিৎসক পদবী ব্যবহার করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে আট ভুয়া চিকিৎসককে ধরে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল একটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। এছাড়া রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়ায় একজন ভুয়া চিকিৎসকের একটি ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়।

একইদিন ১০টা থেকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া, শিলখালী, টৈটং ও পেকুয়া সদরে অভিযান চালান পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী। চিকিৎসক হিসেবে কোনো কাগজপত্র না থাকলেও চিকিৎসক পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা করায় আটজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অর্থদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বারবাকিয়া বাজারের আব্দুর রাজ্জাক, পেকুয়া বাজারের নুরুল কাদের, জাফর আলম, প্রদীপ কুমার সুশীল, আবদুল মান্নান, পেকুয়া চৌমুহনীর হুমায়রা পারভিন মুক্তা, মো. সোহেল মানিক ও শিলখালী ইউনিয়নের কাছারীমোড়া স্টেশনের সমীর কান্তি নাথ। এরমধ্যে আবদুল মান্নান ও হুমায়রা পারভিন দাঁতের চিকিৎসা করতেন। এছাড়া পেকুয়া চৌমুহনীর শাহাব উদ্দিনের নামের এক ব্যক্তির ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক পদবী ব্যবহার করে রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে প্রতারণা করছে। অনেকে শয্যা বিছিয়ে ক্লিনিক বানিয়ে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা বলেন, প্রাথমিকভাবে আটক ভুয়া চিকিৎসকেরা তাঁদের ভুল স্বীকার করেছে। এমন অপরাধ আর করবে না মর্মে অঙ্গিকার করেছে। এ কারনে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: