রহিমা বেগমের নিখোঁজ ঘটনায় মেয়ে মরিয়মই মাস্টার মাইন্ড!

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:২৯ এএম

মরিয়ম মান্নান। কয়েক দিন আগে মায়ের সন্ধান চেয়ে দেশের সকল গণামাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। তবে তার মায়ের নিখোঁজের ঘটনায় মরিয়ম মান্নানই মূল পরিকল্পনাকারী বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। সেই সাথে মরিয়ম মান্নানকে আইনের আওতায় আনা হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে তারা জানান।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজের মামলায় গ্রেফতার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ও মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দী মহিউদ্দিনের মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি এসব কথা বলেন এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত কারাগার থেকে মুক্তির দাবি জানান।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা ভীষণ উচ্ছৃঙ্খল। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছে। কয়েক বছর আগে শরিফুল ইসলাম নামে মাত্র ৮-৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়েছিল। মরিয়মের বাবার তিনটি বিয়ে, ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া তাদের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। এখন সেই জমিই কাল হয়েছে।

মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, রহিমা বেগমের কাছে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রসাধনীসামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তিনি জন্মনিবন্ধন পরিবর্তনের জন্য ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন, যা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া পুলিশ ও আদালতে দেয়া বয়ানেও পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মো: গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েল এবং প্রতিবেশী হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয় অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আক্তার বাদি হয়ে পরের দিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় উপরোক্ত ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: