জয়পুরহাটে হাত-পা বাঁধা নারীর লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাট জেলা শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লা থেকে হাতপা বাঁধা অবস্থায় সাজেদা ইসলাম সাজু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করার একদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার দিনে দুপুরে সাজেদা ইসলাম সাজু নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, শহরের জানিয়ার বাগান এলাকায় জয়পুরহাট চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল আহসান ও ডা: পারভীন আকতার দম্পতির বাসার ৫ম তলার ভাড়াটিয়া সাজেদা ইসলাম সাজু (৩৮) মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী আরিফা খাতুনকে নিয়ে ৮/৯ মাস ধরে বসবাস করে আসছেন। স্বামী হাফিজুল ইসলাম সিলেটে একটি পেপার মিলে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরী করেন। তাদের বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর গ্রামে।

মঙ্গলবার দুপুরে এসএসসি পরিক্ষা শেষে বাসায় ফিরে মায়ের মৃত দেহ দেখে চিৎকার করে আরিফা। এ সময় বাসার মালিকসহ অন্যান্যরা ছুটে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়া হয়। সাজেদা ইসলাম সাজুর মুখে কসটেপ লাগানো ও গলায় কাপড় পেঁচানো এবং দুহাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় পায় পুলিশ। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়, পুলিশ। ঘরের আলমারি ভাঙ্গা ও কাপড় চোপড়সহ জিসিনপত্র এলো মেলো ছিল। তাতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা লুট করার জন্য এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো ব্যবস্থা করে। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত বা প্রকৃত কি ঘটনা তা দ্রুত উদঘাটনের জন্য তথ্য প্রযুক্তির সকল সহায়তা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান, জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় ওই বাসার পুরানো ও বর্তমান কাজের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাজেদা ইসলাম সাজুর সঙ্গে থাকা এসএসসি পরিক্ষার্থী মেয়ে আরিফা খাতুন জানান, এসএসসি পরিক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মা সাজেদাকে একাই বাসায় রেখে যায়। পরিক্ষা দিয়ে দুপুরে বাসায় ফিরে দরজা খোলা অবস্থায় পায়। এরপর দেখে উত্তর পাশের ঘরে মা হাতবাধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে সাজেদা ইসলাম সাজুর শ্বশুর এ টি এম নূর ইসলামসহ স্বজনরা ছুটে আসেন।

তাৎক্ষনিক ভাবে সিআইডি, সদর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা খুনের মোটিভ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করলেও খুন হওয়ার এক দিন পার হলেও পুলিশ কোন ক্লু পায়নি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, দ্রুতই ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। স্ত্রী সাজেদা ইসলাম সাজু খুন হওয়ার খবর পেয়ে স্বামী হাফিজুল ইসলাম সিলেট থেকে রওনা দিয়ে বুধবার ভৈারে জয়পুরহাট পৌছেছেন। হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমি মানসিক ভাবে এখন ভালো নেই পরে কথা বলবেন বলে জানান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।

শাকিল/সাএ