সাভারে স্কুল ছাত্রীকে মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকার সাভারের কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আমেনা আক্তার রত্নারকে জনসম্মুখে মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দায়ে অভিযুক্ত জলিল ও লায়লির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন রত্নার সহপাঠি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা সম্বলীত ব্যানার, ফেসটুন নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি অভিযুক্ত জলিলের বাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়। আমেনা আক্তার রত্না বুড়িরটেক এলাকার বাক প্রতিবন্ধী রতন হোসেন মোল্লার মেয়ে। তার বাবা, মা ও ভাই তিন জনই প্রতিবন্ধী। রত্না ছিলো পরিবারের একমাত্র সুস্ব্য ছিলো।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা, আমেনা আক্তার রত্নারকে জনসম্মুখে মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দাতা জলিল ও লায়লির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। যাতে এধরনে কাজ সমাজে আর না ঘটে। সে সাথে অভিযোগ দিয়েও সঠিক সময়ে বিচার না পাওয়া এবং উল্টো অভিযুক্তরা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি ধামকির কারণে এ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলেও জানান তারা।
এসময় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল কবির আজাদ, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য শামসুল হকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ই আগষ্ট বিকেলে কাউন্দিয়া বুড়িরটেক এলাকার মুদি দোকানদার জলিলের পরকিয়ার কাহিনী শুনে ফেলা রত্না। পরে জলিলের পরকিয়ার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে ১৭ই আগষ্ট জলিল ও তার স্ত্রী লায়লি তাদের বাড়ির সামনে থেকে রতনাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে দোকানের সামনে এনে চড় থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে থাকে। রত্নাকে মারতে দেখে ছুটে আসে রত্নার সমবয়সী ফুফাতো বোন। তাকেও বেধড়ক মারতে থাকে তারা। মারতে মারতে একসময় তাদের রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
এসময় বাধা দিতে রত্নার ফুপুকেও তারা বেধড়কভাবে মারে। এঘটনার পর থেকে জলিলের দোকান ও বাড়ি রত্নার বাড়ির একই গলিতে হওয়ায় রত্না বের হলেই তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতো এবং আরো বেশি মারা দরকার ছিলো বলেও সারাক্ষণ কুটক্তি করতো ওই অভিযুক্তরা। পরে অভিমানে ওই শিক্ষার্থী ১৯শে আগষ্ট বিষপান করলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা জান। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জলিল ও তার স্ত্রী আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তা বাতিল করে দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: