প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

জুলফিকার আলী ভূট্টো

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে রংতুলির শেষ আচঁড় দিতে ব্যাস্ত মৃৎশিল্পীরা

   
প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

শরৎকাল মানেই জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আগামী শনিবার হতে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে মৃৎশিল্পীদের দম ফেলার ফুরসৎ নেই। বিরামহীনভাবে কাজ করছেন তারা। এখন পর্যন্ত কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে মাটির প্রলেপ দেয়াসহ অনেক মন্ডপে রংতুলির কাজও শেষ হয়েছে। আবার অনেক মন্ডপে রংতুলির শেষ আচঁড় দিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।

শিল্পীরা আপন মনে মনের মাধুরী মিশিয়ে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, মহিশাসূরসহ সকল মূর্তিকে রংতুলির মাধ্যমে স্ব স্ব মহিমায় প্রষ্ফুটিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এবারে নীলফামারী জেলায় ৮৯১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। এবারেই প্রথম দুর্গা মন্ডপ গুলোতে আইন শৃংখলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পুজা মন্ডপকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডোমার সদর ইউনিয়নের ছোটরাউতা আন্ধারুর মোড় পুজা মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কারিগর জলঢাকা উপজেলার কালিগঞ্জ শালন গ্রামের বাসিন্দা রতন ভাস্কর জানান, আমার দুজন সহযোগী মৃৎশিল্পী পবিত্র ভাস্কর ও তপন ভাস্করসহ ৩ জনের একটি টিম প্রতিমা তৈরী এবং রং দুটোই করছি। প্রতিমা গুলো আমরা চুক্তিভিত্তিক তৈরির কাজ করি। এবারে ৫টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির জন্য প্রকার ভেদে ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চুক্তি হয়। গত দুমাস ধরে প্রতিমা তৈরীর কাজ করছি। আজই শেষ হবে।

নীলফামারী সদর উপজেলার কচুয়া চৌরঙ্গী হাট র্সাবজনীন পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কারিগর বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা প্রতিটি মণ্ডপে তিনজন করে কাজ করছি। এবার আমি পাঁচটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি। প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির জন্য আমরা ১৫ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা নিচ্ছি। আমাদের এখন রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে।

ডোমার উপজেলা ব্রাহ্মণ পুরোহিত ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানিক চক্রবর্তী জানান, পঞ্জিকা মতে বাংলা সনের আগামীকাল শনিবার ১৪ আশ্বিন ষষ্ঠী তিথির মাধ্যমে দুর্গা পুজা শুরু হয়ে আগামী ১৮ আশ্বিন বিজয়া দশমীর মাধ্যমে বিসর্জন হবে। এবারে দেবী দুর্গা মর্তে আগমন করবেন গজে এবং গমন করবেন নৌকায়। নীলফামারী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উত্তম কুমার রায় বাদল জানান, এবারে জেলায় ৮৯১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, পূজা উদযাপনকে ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে এবং পূজা মণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হবে।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: