প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

৬ দিন গেলেও মেলেনি বাবার মরদেহ, করতোয়ার পাড়ে দিন কাটছে তপনের

   
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় অসংখ্য মানুষ হারিয়েছন তাদের স্বজনদের। কেউ বা হারিয়েছেন তাদের পিতা মাতাকে, কেউ বা তাদের সন্তানদের। তাদের মাঝে এমনই একজন তপন চন্দ্র বর্মণ।  বাবা সরেন্দ্র নাথ বর্মণের মরদেহ খুঁজে পেতে করতোয়ার পাড়ে রাত-দিন পার করছেন তিনি। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও খোঁজ মেলেনি তার বাবার। কোথায় কোনো মরদেহের খবর পেলে ছুটে যান সেখানে কিন্তু তবুও বাবার খোঁজ মিলে না।

অসহায় তপন চন্দ্র বর্মণ জানান, অনেক মানুষের প্রাণ গেলো, মরদেহ পাওয়া গেল। আমার আত্মীয়-স্বজনসহ আমার পরিবারের মানুষ নিখোঁজ ছিল। এক এক করে পাঁচজনের মরদেহ পেলাম। এখন পর্যন্ত আমার বাবাকেই পেলাম না। ছয়দিন ভোরে উঠে যেখানেই মরদেহ উদ্ধারের খোঁজ পাচ্ছি। সেখানে দেখি আমার বাবা নাই। পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুরের খানসামা পর্যন্ত নদী এলাকায় খোঁজ করেছি। কিন্তু আমার বাবাকে কোথাও পাইনি। তিনি বলেন, বাবাকে জীবিত পাওয়া আর আশা নেই। ছয়দিন পর সঠিকভাবে মরদেহ পাওয়ারও আশা নাই। কিন্তু আমি যে তার ছেলে। বাবার কোনো কিছু পেলেই আমরা সৎকার করবো।

নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।  তপনের বাবা সরেন্দ্র নাথ বর্মণসহ এখনও তিনজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ বাকি দুইজন হলেন- পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ শালডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিডুবা শিকারপুর গ্রামের মদনের ছেলে ভূপেন (৪০) ও একই উপজেলার ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথের শিশুকন্যা জয়া রানী (৪)। এদিকে দুর্ঘটনার ছয়দিনে উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। শুক্রবারও সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ১২ ইউনিট এবং ১২ জনের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ করছেন। তবে কোনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

রেজানুল/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: