গরীবের চাল আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫৯ পিএম

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গরীবের চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। জেলের নামের চাউল নিজে আত্মসাৎ করেছেন। ভিজিএফ তালিকা যাচাই-বাছাই এবং পর্যালোচনা করে দেখতে পায় ১৯ জন মৃত ব্যক্তির নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিজিএফের তালিকায় থাকা ৭৮ জনের কোনো নাম পরিচয় কিংবা অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অথচ ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জেলেদের চাল বিতরণের মাস্টারোলে ওইসব ব্যক্তির নামে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, মামুনের ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসনের গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটি। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশফাকুর রহমান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালীর ইউএনও মাশফাকুর রহমান বলেন, দুদকের দায়ের করা একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ একটি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছি। তদন্তে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১লা সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামাল হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ পরে জানানো হবে।রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন, অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: