বিয়ে বাড়িতে হাজির ইউএনও, কক্সবাজারে পণ্ড বাল্যবিয়ে

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সাড়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী। ওই কিশোরী একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার সূর্যের হাসি ক্লিনিক সড়কে। শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই কিশোরীর সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের চাতরী গ্রামের ৩৩ বছর বয়সী এক যুবকের।
এরপর খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া এ বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে ওই কিশোরীর বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে রান্না করা হয়। বরযাত্রীরাও চলে এসেছিল। প্রশাসনের লোকজন এসে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে অতিথিদের খাইয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়।
ইউএনও মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
তিনি বলেন, ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার জন্ম নিবন্ধন দেখতে চাই। ভুয়া সনদে তার বয়স ১৮ বছর করা হয়। পরবর্তীতে কিশোরীকে সামনে উপস্থিত করতে বিলম্ব করছিল। এসময় মেয়ের বিয়ের সাজ পরির্বতন করে সেলোয়ার কামিজ পরিয়ে নিয়ে আসা হলে সন্দেহ তৈরী হয়। তখন কিশোরীকে জিজ্ঞেস করা হলে সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বলে উত্তর দেন। পরে বিভিন্ন কাগজ যাচাই করে দেখি তার প্রকৃত বয়স সাড়ে ১৩ বছর। যেহেতু ওই মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি সে কারণে এই বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইউএনও আরও বলেন, পরে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ স্কুলের শিক্ষককের জিম্মায় কিশোরীকে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি নজরদারিতে রাখার জন্য তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরীর বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করা হবে না মর্মে কিশোরীর অভিভাবক এবং কাজির সহকারির কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে যদি তার মেয়েকে বিয়ে দেয় তাহলে আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তিযোগ্য প্রদান করা যাবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য: