অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি - প্রতিনিধি
দিনে ও রাতের আধাঁরে সুরমা নদীতে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গনে কবলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিনাপার্টি গ্রাম। শুক্রবার দুপুরে গ্রামটি রক্ষায় হরিণাপাটি গ্রাম নাগরিক কমিটির আয়োজনে সুরমা নদীর তীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কয়েক শতাধিক ভুক্তভোগীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন,সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই,হরিনাপাটি মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুর রউফ,আব্দুল মালিক,হাজী আজমান আলী মাষ্ঠার,সমাজসেবক মো. রফিক মিয়া,শওকত আলী মেম্বার,হারুণ মিয়া,আঞ্জব আলী,মুজিবুর রহমান মেম্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হরিণাপাটি মৌজার মো. খুশি মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে হরিণাপাটি বাজার সংলগ্ন কে এস বি ও সওদাগর বিক্সস ফিল্ড এবং কনুরডালা পর্যন্ত গভীর রাতে একদল সুবিধাভোগীরা সরকারী অনুমোদন ছাড়াই আইন অমান্য করে হরিনাপাটি গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে আঞ্জব আলী,মৃত আব্দুল হানানের ছেলে নাজিব আহমদ,নুপুর মিয়া,আলতাই মিযা,রিগেন মিয়া,শফিক মিয়াগংরা অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বেশ কয়েকটি স্ট্রীলবডি নৌকায় করে প্রতিরাতে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে নদী তীরবর্তী হরিনাপাটি গ্রাম ,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাজার ও ইমাম জামে মসজিদসহ ফসলী জমি নদীগর্ভে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
তারা জানান, এই ভাঙ্গনরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ঐ এলাকার নদী ভাঙ্গনরোধে এক কিলোঃ জায়গা বালু ও বস্তা দিয়ে ৫কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প কাজ এগিয়ে চললে ও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে সরকারের এই টাকা দিয়ে নদী ভাঙ্গন ঠেকানো যাবে না। দ্রুত এ সমস্ত বালু খেকোদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।
অন্যতায় গ্রাম স্কুল ও মসজিদ রক্ষায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ও হুশিয়ারী দেন বক্তারা। উল্লেখ্য ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য সুরমা নদী তীরবর্তী এই হরিনাাপটি গ্রাম,বাজার,স্কুল ও মসজিদ রক্ষার দাবীতে গ্রামবাসি গত ৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় সরকারীভাবে দুয়েকটি বড় প্রকল্পে নিদিষ্ট জায়গার নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি থাকলেও কিছু কিছু মোনাফালোভী ড্রেজার ব্যবসায়ীরা সুরমা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে তারা বেশি দামে চুরি করে রাতের আধাঁরে অন্যত্র নির্বিঘ্নে বালু ফেলে প্রতিরাতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে ঐ সমস্ত বালু খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে নদী তীরবর্তী প্রায় সকল গ্রাম,স্থাপনা ও মসজিদ,মন্দির বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন নদীপাড়ের মানুষগুলো।
এ ব্যপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,যে বা যারা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে সুরমা নদী থেকে বালু উত্তোলন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া সরকারী প্রজেক্টে বালু ফেলার নামে নিজেদের ব্যক্তিগত মোনাফা লাভের জন্য অন্যত্র বালু ফেলছেন এমন তথ্য পেলে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আশরাফুল/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: