সেই আউলিয়ার ঘাটে শুরু হয়েছে ব্রীজ নির্মান প্রক্রিয়া

প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১০:৪১ পিএম

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে ৬৯ জন নিহতের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) । করতোয়া নদীর সেই আউলিয়াঘাটে শুরু হয়েছে ব্রীজ নির্মান প্রক্রিয়া। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) করতোয়া নদীতে নৌ দূর্ঘটনাস্থলে ব্রীজের স্পট পরিদর্শণ করেছেন এলজিইডির একটি প্রকৌশল দল। এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম ব্রীজ নির্মাণের সম্ভাব্যতার বিভিন্ন বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

এসময় ডিজাইন শাখার নির্বাহী পরিচালক তরুণ ব্যাণার্জী, ভাস্কর কান্তি, মো. আমিরুজ্জামান এবং গ্রামীণ সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক মো. ফখরুল আলম, এলজিইডি পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম আকন্দ, বোদা উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি ঘটনাস্থলে আসা প্রকৌশলীদের সাথে মোবাইল ফোনে খোঁজ-খবর নেন।

এলজিইডি পঞ্চগড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান জানান, এলজিইডির দলটি করতোয়া নদীর ওপর ১১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের ইংরেজি ওয়াই আকৃতির ব্রীজটি নির্মাণের খসড়া লে আউট দিয়েছেন। এরপর অ্যালাইনমেন্ট এবং ডিজাইন করা হবে। ডিজাইন শেষে প্রাক্কলন (ষ্টিমিটি) এরপর টেন্ডার আহবান করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই টেন্ডার আহবান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মাড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সূশীল চন্দ্র বর্মন জানান এই নদীটি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট বড়শশী ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নকে বিচ্ছিন্ন করেছে। ব্রীজটি নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। ব্রীজটি নির্মিত হলে বোদা ও দেবীগঞ্জের মানুষের যাতায়াতে সহজ হয়ে যাবে। ব্রীজের অভাবে রোগীবাহি অ্যাম্বুলেন্স, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যসহ যানবাহনগুলোকে জেলা শহরের ওপর দিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: