ছুটির দিনেও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৭ পিএম

গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ আশেপাশের জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে। দিনে পাঁচ থেকে সাতবার লোডশেডিং হচ্ছে। এমনকি ছুটির দিনও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। অপরিকল্পিত এই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। বিশেষ করে শিশু, শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

অভিভাবকরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় এর প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না। স্কুলেও সময়মতো যেতে পারছে না।

ব্যবসায়ীদের অবস্থাও একই। বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় বাগড়া দিচ্ছে লোডশেডিং। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারাও আসছেন না। যার কারণে কেনাবেচা অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া নবজাতক ও রাগীরাও লোডশিডেংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু পরপর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঠিক মতো ঘুমাতেও পারছেন না তারা।

বিদ্যুৎ বিভাগ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিড বিপর্যয়ের পর বিদ্যুতের চাহিদার পুরোটা এখনও সরবরাহ করা যায়নি। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। তবে শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, দিনে ও রাতে ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি হচ্ছে। যে কারণে কিছু এলাকায় লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের শিডিউল মানা যাচ্ছে না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: