অপহরণের ২ ঘন্টা পর রিকশা মেকানিক উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩১ এএম

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক রিকশা মেকানিককে অপহরণের দুই ঘন্টা পর আহত ও মূর্মুষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম ওবাইদুল হাসান সিফাত (২৫)। তিনি উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরণদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে সশস্ত্র ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে তাকে নিয়ে যায়। পুলিশ যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীদের কবল থেকে সিফাতের আত্বীয়স্বজন উদ্ধার করে হাসপাতারে নিয়ে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুত্র ওবাইদুল হাসান সিফাত। পেশায় একজন রিকশা মেকানিক। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে সিফাত তার দোকানের জন্য কিছু মালামাল আনতে টমটম গাড়ি করে চকরিয়ার চিরিঙ্গা পৌরশহর যাচ্ছিলেন। ওইসময় সিফাত চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌছলে ৪-৫জনের একদল সন্ত্রাসী সিফাতের পথরোধ করে। একপর্যায়ে টমটম গাড়ি থেকে সিফাতকে অস্ত্রের মুখে অপর আরেকটি টমটম গাড়িতে তুলে সওদাগরঘোনা খালের মাথা এলাকায় নিয়ে যায়। এসময় সিফাত শোর চিৎকার দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পরে চকরিয়া থানা পুলিশ ও স্বজনকে অবগত করা হলে পুলিশ চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোণা খালের মাথা স্থান থেকে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। সিফাতের বাম হাত ও ডান পা সম্পূর্ন ভেঙ্গে দেয় সন্ত্রাসীরা। শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে।

এদিকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চকরিয়া হাসপালের চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিফাতের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, তার পুত্রকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। টাকা গুলো না দিলে জবাই করারও হুমকি দেয়। আমরা যথাসময়ে পুলিশ না জানালে হয়তো জীবিত পেতাম না সিফাতকে।

চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ওবাইদুল হাসান সিফাত আমার নিকটতম আত্মীয় হয়। সে রিকসা মেকানিক কাজ করে। চরণদ্বীপ থেকে চিরিঙ্গা যাওয়ার পথে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চিহিৃত ৪-৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে সিফাতকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ও আমরা খোজাখুজি করে সওদাগরঘোণা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছি। তবে তার একটি পা ও হাত সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। শরীরের একাধিক স্থানে জখম রয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই সিফাতের স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ এজাহার দেয় নাই। এজাহার পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: