ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে মার খেলেন কৃষকলীগ নেতা

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

মহিউদ্দিন নামে এক কৃষকলীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়েছেন উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়ার ছেলে আরাফাত হোসেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময়, আরাফাত নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়ার আরেক ছেলে আল আমিন ফেসবুকে পোস্ট করেন- ‘অচিরেই মুন্সিরহাটে আওয়ামী লীগের লোকজন মাইর খাবে’। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার নূরনবী নামের আরেক ব্যাক্তি পাল্টা আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। ওই পোস্টে মুন্সিরহাট ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মন্তব্য করেন। মন্তব্যে মহিউদ্দিন লেখেন, চরমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক সর্বোচ্চ নেতার কাছে তিনি মাছের টাকা পাবেন।

এ মন্তব্যের জেরেই শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে ইউছুফ আলী মিয়ার ছেলে আরাফাত কৃষক লীগ নেতা মহিউদ্দিনকে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, শনিবার সকালে মহিউদ্দিন মুন্সিরহাট বাজারে গেলে আরাফাত তাকে একটি চায়ের দোকান থেকে উঠিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। এখনও সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

আহত কৃষকলীগ নেতা মহিউদ্দিন বলেন, আমি নূরনবীর ফেসবুক পোস্টের নিচে আওয়ামী লীগ নেতার কাছে মাছের টাকা পাবো বলে কমেন্ট করায় চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া ছেলে আরাফাত শুক্রবার রাতে আমাকে মোবাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শনিবার সকালে আমি মুন্সিরহাট বাজারে গেলে সে লোকজন নিয়ে আমাকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আরাফাতের ফোনে কল দেয়া হলে তিনি আরাফাত নন বলে জানান। কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: