বগুড়ায় দুই ঘণ্টায় দুইজনকে হাতুড়িপেটা, একজনকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৩২ পিএম

বগুড়া শহরে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দুই জনকে হাতুড়িপেটা ও একজনকে মাথায় ছুরিকাঘাত করেছে। এসময় ভাংচুর করা হয়েছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর আগে সোমবার রাত ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়, জেল খানার মোড় এবং খান্দার এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় পারভেজ, রিফাত,ইমন ও বিবর্তন নামের ৪ সন্ত্রাসী।

বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ে বার-বি-কিউ নামের একটি ফাস্ট ফুডের দোকানের পরিচালক আব্দুল বাছেদ জানান, রাত ৯ টার দিকে ৪-৫ জন যুবক মোটরসাইকেল যোগে তার প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কর্মচারী তারেকের কাছে ইয়াবা সেবনের জন্য ফয়েল পেপার চায়।

এনিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রিফাত তার সাথে থাকা হাতুড়ি বের করে তারেককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী এই গ্রুপটি বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা মহড়া দেয়ার এক পর্যায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে খান্দার এলাকায় মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়াকে কেন্দ্র করে শাওন নামের এক যুবককে হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়।

বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হরিদাস মন্ডল জানান, গুরুতর আহত শাওন শহরের সুত্রাপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে সন্ত্রাসীদের ওই গ্রুপটি রাত ১১ টার দিকে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জেল খানা মোড়ে শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেনকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে। সাব্বির হোসেন শহরের চেলোপাড়া মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।

দুই ঘণ্টাব্যাপী সন্ত্রাসী গ্রুপটি শহরে মহড়া দিলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে না পারার বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পারভেজ, রিফাত, ইমন, বিবর্তনসহ ৬-৭ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা সবাই মাদকাসক্ত। বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাদেরকে। জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। এদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রযেছে। সোমবার রাতে ৩ টি ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টীম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, তিনটি ঘটনায় থানায় মামলা হবে। ইতিমধ্যে তিনটির মধ্যে ১টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: