স্থগিত হতে পারে পুরো নির্বাচন!

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০১:২১ পিএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে গেছে। গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। অনিয়মের অভিযোগে ৫১ (ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা) ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিসি টিভি দেখে ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম দেখে সাংবাদিকদের এমন তথ্য দেন।

সিইসি বলেন নিয়ন্ত্রণেররবাহিরে গেছে। গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেবো তার-পরবর্তীতে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতো পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি।

নির্বাচন বন্ধ করবেন কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে কমিশন যদি মনে করি নির্বাচন সঠিক ভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেবো, তখন জানাবো।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল তা আমরা বলতে পারবো না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে হচ্ছে, এবং সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে এমন তা চটজলদি বলতে পারবো না।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের বরাত দিয়ে তিনি বলেন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমত কাজ করছে কিনা, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকচন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পড়ে, শাড়ি পড়ে যেখানে প্রতীক আছে দেখা যাচ্ছে তারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। এবং এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী।

তিনি আরও বলেন,যারাই আইন মানছেন না তাদেরকেই আমরা ডাকাত দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না। অনিয়মের অভিযোগে ৫০ (ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা) ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।

নির্বাচনে পরের দিন পর্যন্ত প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী হাকিম ও দুই জন করে বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এক হাজার দুইশোর বেশি। থাকছে কয়েক প্লাটুন বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও।

নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: