প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

শিপন সিকদার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ভাড়াটে সেজে প্রতারণাই তাদের পেশা

   
প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, ১২ অক্টোবর ২০২২

ফতুল্লার দাপায় ভাড়াটে সেজে লাচ্ছির সাথে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে বাড়িওয়ালার পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুই নারীসহ ভাড়াটেরূপী প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি গ্রামের নুর হাজীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত আমির মিয়ার পুত্র আনোয়ার (৩৫), দুলালের স্ত্রী কুলসুম (৫০) ও রাসেলের স্ত্রী সীমা (৩০)। তবে উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার।

এ ঘটনায় বাড়ীর মালিক জামাল মিয়া বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত তিনজন সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, ৯ অক্টোবর বিকেল ৫ টার দিকে গ্রেফতারকৃত সীমা, কুলসুল ও পলাতক আসামী মুক্তা বেগম বাদীর বাসায় এসে তাদের নিচতলার রুম ভাড়া নেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করে। কথামতো ১০ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে প্রতারক চক্র বাদীর নীচতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে আসে। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে বাদীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সাথে পরিচিত হতে গিয়ে সাথে নিয়ে যায় চেতনানাশক ঔষধ মেশানো লাচ্ছি শরবত।

তারা কৌশলে বাদীর স্ত্রী শিরিন আক্তার (৫০), মেয়ে সুকন্যা (২৫) ও ১৭ মাস বয়সী নাতি অনালকে শরবত পান করায়। এতে তারা ধীরে ধীরে অচেতন হয়ে পড়লে প্রতারকচক্র ঘরে থাকা নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও দুই ভরি দশ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি টের পেয়ে বাদীর অপর নাতি রিফাত (১১) তাকে ফোন করে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় চলে আসার পথে স্থানীয়দের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়ার পথে কুলসুমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অপর সকল আসামীদের গ্রেফতারসহ চুরি যাওয়া টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: