টাকা লুটে নিয়ে হত্যার পর ঝুলানো হয় গাছে

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১১:০৯ পিএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে লিচুগাছ থেকে এক বালু ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো. এনামুল হক। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বালু বিক্রির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশটি গাছে ঝুলিয়ে রাখেন খুনিরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসএম মাঈদুল ইসলাম। এর আগে, গতকাল বুধবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এই ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদেরচালা গ্রামের ছিদ্দিক গাজীর ছেলে আবুল কাশেম গাজী, একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ফখরুল ইসলাম ও একই এলাকার ভাড়াটিয়া ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. ফালান। র‌্যাব কর্মকর্তা এএসএম মাঈদুল ইসলাম জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের ইসমাইল মৃধার লিচু বাগান থেকে এনামুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এরপর হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে র‌্যাব ও পুলিশ।

পরবর্তীতে এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে কাশেম, পাগলা থানার দত্তেরবাজার ঘাট পাগলীরচর এলাকার বালুর ট্রলার থেকে ফালান ও শ্রীপুরের বেড়াইদেরচালা গ্রামের দুখলা এলাকা থেকে ফখরুলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাশেম ও ফালান জানান, এনামুল ছিলেন বালু ব্যবসায়ী। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে বালু বিক্রির টাকা আনতে ফখরুলের কাছে যান এনামুল। টাকা নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। পরে এনামুল কোনোভাবে পালিয়ে স্থানীয় খোরশেদ আলমের দোকানের সামনে যান। ওই সময় তাকে আটকে সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফের ফখরুলের কাছে নিয়ে যান কাশেম ও ফালান।

এরপর তিনজন মিলে মারধর করেন। এতে অচেতন হয়ে পড়লে এনামুল মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হন তারা। একই রাতে এনামুলকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে পিকআপে তুলে নেন ফখরুল, কাশেম ও ফালান। কিন্তু হাসপাতালে না নিয়ে টেপিরবাড়ি গ্রামের ইসমাইল মৃধার লিচু বাগানে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: