ফেনীতে বালু তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, পৌর মেয়রসহ গুলিবিদ্ধ ৪

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২১ পিএম

কামরুল হাসান নিরব, ফেনী থেকে: ফেনী নদীর তীরবর্তী সোনাগাজির কামরিচরে সীমান্তবর্তী এলাকায় বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের গুলাগুলি সংগঠিত হয়। এতে মীরসরাই পৌর মেয়র রেজাউল করিম খোকন সহ ৪ আ'লীগ নেতা গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ১০টায় মুহুরি সেচ প্রকল্প সংলগ্ন ফেনী নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন (৪৮), হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা অশোক সেন (৪২) ও ওচমানপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী সাইদ খাঁন দুখু।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলার মস্তাননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তাদের দুজনকে। একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, ফেনী নদীর মিরসরাই অংশে ইজারাবিহীন বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনের সঙ্গে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র খোকনের দীর্ঘদিন ধরে দন্দ্ব চলছিলো।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে মেয়র খোকনের লোকজন বালু তুলতে গেলে তাদের দুটি বোট আটকে রাখে ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপনের লোকজন। শুক্রবার সকালে বিষয়টি মেয়র খোকন সমাধান করার জন্য গেলে রিপনের অজ্ঞাত ৮/১০ জন অস্ত্রধারী লোক গুলি করে। এতে গুরুতর আহত হন খোকনসহ তিনজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন বলেন, আমি এখানকার বৈধ ইজারাদার। আমার লোকজন গুলি করার প্রশ্নই ওঠেনা। বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র খোকন অবৈধভাবে এখানে বালু তুলছেন। তিনি এসে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। তারা তাদের নিজেদের গুলিতে আহত হয়েছে, কিন্তু তার দায়ভার আমার উপর চাপিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মিনহাজ উদ্দিন জানান, রেজাউল করিম খোকনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি পেটে এবং শরীরের কয়েকটি স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনের মধ্যে অশোক সেনকেও চমেকে পাঠানো হয়েছে। সাইদ খান দুখু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: