পটুয়াখালীতে ১০ ঘন্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাট
পটুয়াখালীতে আগাম প্রচার ছাড়াই ১০ ঘন্টার অধিক সময়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টার পরে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার আশেপাশের সময়ে বিদ্যুৎ চলে আসে। এরপর আবারো রাত ১২টা থেকে রাত সোয়া ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে পুরো শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রচন্ড গরমে এমন ভাবে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অতিষ্ঠ মানুষ একটু শান্তির আশায় ঘর ছেরে বেরিয়ে পরেছেন বাহিরে। দোকান পাট ব্যাবসা বাণিজ্যে ক্ষতি হয়েছে অনেক। ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের পোহাতে ভোগান্তি।
পটুয়াখালী সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা তন্ময় হালদার তপু জানান, টানা অনেকটা সময় বিদ্যুৎ না থাকায় খুবই কষ্ট হচ্ছিলো। একদিকে প্রখর রোদে ফ্যান চালাতে না পারে বাহিরে নেমে বসে থাকি। কিন্তু বাহিরেও গরম। বন্ধের দিনে ঘরে কিছু কাজ থাকে। কিন্তু এই অসহ্য গরমে সেগুলো কিছুই করা হয়নি। সন্ধ্যার দিকে যখন দেখছি বিদ্যুৎ আসছে না তখন আমার ছেলেকে নিয়ে ঝাউতলা এলাকাতে ঘুরতে বের হই। সেখানে গিয়ে দেখি স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুণ মানুষ। সবসময় এত মানুষ থাকে না। বিদ্যুৎ না থাকায় এই এলাকাতে আমাদের মতো অনেকেই এসেছে।
শহরের তিতাস এলাকার রেস্তোরাঁ ব্যাবসা সবুজ সিকদার বলেন, দুপুরের পর থেকে গরমে আমাদের রেস্টুরেন্টে কাস্টমারের সংখ্যা নেই বললেই চলে। তৈরি করা অনেক খাবার ফেলে দিতে হয়েছে। তাছাড়াও ফ্রিজে থাকা আইসক্রিম সব গলে গিয়ে আমার অনেক টাকা লস হয়েছে। ফ্রিজের মাছ মাংস অনেক ফেলে দিতে হয়েছে। আগাম কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এভাবে বিদ্যুৎ চলে গেলে ব্যাবসা বাণিজ্য টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে যাবে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা করতে আসা মোসাঃ পারভিন জানান, ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তায় হেঁটেছি যতক্ষন পেরেছি। ঘরবাড়িতে থাকলে তবুও কোন ভাবে সময় কাটানো যায়। হাসপাতালে এমনিতেই মানুষের ভিড়। বাহির থেকে বাতাস ভিতরে ঢোকার কোন ব্যাবস্থা নেই। নেই জেনারেটর। এখানে রোগীদের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছে। সব থেকে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কষ্ট পেয়েছে। আমার মতো রোগীদের সাথে যারা এই হাসপাতালে রয়েছেন তারাও এই গরমে রোগী হয়ে যাওয়ার উপদ্রব হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, পাওয়ার গ্রিড থেকে পৌর এলাকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ট্রান্সফরমারে সমস্যা হওয়ার জন্য বিকাল ৩টা ২২ মিনিটে পটুয়াখালী শহরের ফিডারের ১৩৩ কেভির গ্রিড সাবস্টেশন থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন ট্রান্সফরমা সংযোজন করা হলে সেটিও কেটে যায়। এরপর বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ও সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চেষ্টায় মধ্যরাতে দিকে আমরা সফল হই।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: