গ্রামীন জনপদে ২৪ ঘন্টার ৬ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না জনসাধারণ

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম

কামরুল হাসান নিরব, ফেনী থেকে: সারাদেশে লোডশেডিং শুরুর পর থেকে ফেনীতে বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজি যেন চরমে। সমগ্র দিনের এক চতুর্থাংশও বিদ্যুৎ এর চমক দেখছে না মানুষ। সমগ্র দিনে ৩-৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। নিয়ম করে এ লোডশেডিং শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে প্রায় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। আবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ এর ছোয়া মিললেও ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেখা পাওয়া ঢের। সন্ধ্যাকালীন কিছু সময় থাকলেও রাতে ঘনঘন লোডশেডিং হয়। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে দেড়-দুইঘন্টার কমে এ বিদ্যুৎ এর ছোয়া মেলে না।

বিদ্যুৎ এর এই ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনপদের ব্যাপক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অবস্থা ব্যাপক শোচনীয়। একদিকে যেমন তাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার ও শেষ নেই। গেল কয়েকবছরে এমন লোডশেডিং এর প্রভাব প্রত্যক্ষ করেনি জনসাধারণ। শহরের তুলনায় গ্রামে এ শঙ্কা বেশি। লোডশেডিং এর প্রভাবে ইলেকট্রনিক্স পন্যের দামে আগুন ছোয়া দর। এক একটি ইলেকট্রনিক্স পন্য বিক্রি হচ্ছে পূর্বের চাইতে ২-৩ গুন চওড়া দামে।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানাজার এ বিষয়ে তথ্য দিতে নারাজ ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি জবাবে জানান, 'ফেনীর সোনাগাজি অঞ্চলের চরচান্দিয়া ইউনিয়নস্থ ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের কাজ করছে ইজিসিবি। এটি সম্পন্ন হলে ফেনীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কিছু অংশে কমার সম্ভাবনা আছে।আবার রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র সহ সরকার ঘোষিত কয়েকটি জাতীয় পল্লী গ্রিডের কাজ নভেম্বর নাগাদ শেষ হতে পারে। বর্তমানে গ্রাহকদের যে পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া প্রয়োজন সে পরিমানে সরবরাহ করতে না পারায় সংরক্ষিত কিছু ভিআইপি এলাকাতে যেখানে কারখানা আছে সে সব স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে বিদ্যুৎ থাকতে হয়। এরপর গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট ভাবে কখন কমবে এ বিষয়ে আমার জানা নেই।'

তবে বিভিন্ন কসকা সাব জোনাল অফিসের কর্মরত এক লাইনম্যান (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান' চাহিদা অপ্রতুল্য বিদ্যুৎ কম থাকায় পূর্বে ১ ঘন্টা পর পর এলাকাভেদে লোডশেডিং হলেও বর্তমানে ৩ ঘন্টা পর ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিতরন করতে হচ্ছে গ্রামে। তবে সেক্ষেত্রে ও অনিয়ম রয়েছে।

গ্রামীন জনপদের লেমুয়া, ছনুয়া, ফাজিলপুর সহ প্রভৃতি স্থানের সাধারণ মানুষের দাবী, সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তহীনতার কারনেই বর্তমানে বিদ্যুৎ এর এই দশা।কয়লা ও গ্যাস কিনতে অপারগতার কারনেই ভয়াবহ এই দুর্যোগের সৃষ্টি। বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটার রেডিং এ বিল আসছে কয়েক গুন বেশি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: