থানার পতিত জমির গর্তকে সবজি বাগানে সাজিয়েছেন ওসি

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৭ পিএম

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার ২ বিঘা পতিত জমির গর্ত ভরাট করে শাক-সবজি আবাদ করে নাম কুড়োচ্ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত। বাগানে লাগানো হয়েছে প্রায় ১৭ ধরনের শাক-সবজি। যা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সবজি চাহিদার অনেকটাই মেটাচ্ছে। থানায় আসা সেবাপ্রত্যাশীরা থানার মধ্যে এরকম শাক-সবজি চাষ করা দেখে নিজেরা আগ্রহী হয়ে বসতবাড়ীতে শাক-সবজির চাষাবাদ শুরু করছেন।

সরেজমিনে বাগান ঘুরে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়মিত পরিচর্যায় সবজি বাগানটি দিনেদিনে সৌন্দর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। কখনো বেগুন গাছে রঙিন ফুল, আবার কখনোবা লাউয়ের ডগায় হলুদ ফুল। আর এই ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে বাগানে ছুটে আসছে মৌমাছি, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন মধুপ্রেমী পতঙ্গেরা। এরকম দৃশ্য বাগানে আসা যে কারোরই নজর কারবে। বাগানটিতে প্রায় ১৭ ধরনের শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে কাঁচামরিচ, পেয়াজ, রসুন, বেগুন, ফুলকপি, পাতাকপি, টমেটো, শিম, পেঁপে, চিচিঙ্গাসহ লালশাক, পুঁইশাক, ডাটাশাক। আর মাচায় ঝুলছে লাউ, বাইঙ্গা ও চিচিঙ্গা।

কাজিপুর থানায় কর্মরত কনস্টেবল রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, পুলিশের চাকুরী করার পাশাপাশি অবসর সময়ে সবজি বাগানের পরিচর্যার কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। এখন আমাদের শাকসবজি কিনতে হয়না বাগানের উৎপাদিত সবজিতেই আমাদের চাহিদা মিটে যায়।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, ১ বছর আগে থানার এই পতিত জমিটুকু ৫ ফিটের মতো গর্ত ছিলো। বর্ষা মৌসুমে এই জায়গায় অনেক পানি জমে সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন পোকামাকড় আশ্রয়াস্থল গড়ে তুলতো। এমনকি আমাদের থানার মধ্যেও এই পোকামাকড় ঢুকে পড়ত। ফলে আমাদের থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন বেগ পোহাতে হতো। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইজিপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক থানার পতিত জমিতে শাক-সবজি লাগিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি।

তিনি আরো বলেন, সবজি চাষাবাদ করে আমরা বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকৃত হয়েছি। থানায় এখন আর বর্ষা মৌসুমে পানি আটকে থাকেনা। বাগানে উৎপাদিত শাকসবজি থানায় কর্মরত পুলিশদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তাদের অর্থ বাচিয়ে দিচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: