দেশে ১৩ হাজার স্কুল-কলেজে স্থাপিত হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১২:১২ এএম

দেশে ১৩ হাজার স্কুল-কলেজে স্থাপিত হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর নতুন করে ৫০০০ হাজার কম্পিউটার ল্যাবের পাশাপাশি ৩০০ শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী ৫ম ‘বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমন কথা বলেন।

অলিম্পিয়াডে আগত যেসব শিক্ষার্থীদের স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব নেই, সেই স্কুল কলেজের একটি তালিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার অনুরোধ করে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিপার্টমেন্ট অব আইসিটির পক্ষ থেকে পরবর্তী প্রকল্পে এসব প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন সোনার বাংলাদেশ গড়তে সোনার মানুষ চাই। তাই সকলকে (শিশু-কিশোর) বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার সোনার মানুষ গড়ার আহ্বান জানই। শিশু-কিশোরদের চিন্তা, উদ্ভাবন বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আধুনিক স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও জ্ঞান ভিত্তিক উদ্ভোবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আজকের শিশু-কিশোরেরাই মূল চালিকা শক্তি হবে।

রোবটের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফায়ার ফাইটিং এর রোবটকে ব্যবহার করলে মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে না। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের কেমিক্যাল কারখানায় আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই আগুন নেভাতে যে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার-ফাইটের লোকে পরিবর্তে সেখানে রোবট পাঠানো যেত তাহলে এতগুলো মানুষের জীবন বিসর্জন দিতে হতো না। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ও নোংরা অনেক কাজে রোবট ব্যবহার করলে জীবন অনেক বেশি সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ আগে বাংলাদেশের রোবট অলিম্পিয়াড ছিল না, ২০১৯ এর আগে আমরা আন্তর্জাতিক রোবটিকস অলিম্পিয়াড অংশ নিতে পারে নি। সুযোগের অভাবে বীরঙ্গনা মেধার পরিচয় দিতে পারতাম না। ২০১৮ তে আমরা রোবট অলিম্পিয়াড এর আয়োজন করলাম, সে বছরই রোবটিক্স অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে থাইল্যান্ড গেল দেশের প্রতিযোগীরা এবং ২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দুটি স্বর্ণপদক জয় লাভ করে। আমাদের মেধাবী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানেরা প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়া ইউরোপ, এশিয়ার যাঁরা প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দেয়, সেসকল দেশের তুলনায় কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। শুধু তাঁদের দরকার একটু সুযোগের, আর সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. সেঁজুতি রহমান এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: