নিষেধাজ্ঞার কারনে আমরা প্রানে বেঁচে গেছি

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪২ পিএম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে চালানো ধ্বংসযজ্ঞের চেয়ে গভীর সমুদ্রে বেশ ভয়ঙ্কর ছিল। তবে সমুদ্রে মাছ শিকারে চলমান নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে এবারের এই ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রগামী জেলেদের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। এমটাই মনে করছেন উপকূলীয় জেলেরা। গভীর সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে জেলেরা উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে আগে থেকেই ছিলেন। এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এই দুর্যোগের মধ্য।

মা ইলিশ রক্ষায় চলতি মাসের ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিনের জন্য সাগর ও নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার ১৮ তম দিন সোমবার (২৪ অক্টোবর) দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কিন্তু সমুদ্রগামী জেলেরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে না গিয়ে আগে থেকেই তীরে নিরাপদে অবস্থান করছিলেন। এতে করে এবার ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন জেলেরা।

পাথরঘাটায় উপজেলার জেলে লালমিয়া ফকির বিডি২৪লাইভকে বলেন, সামান্য ঝড়েও সাগরে টিকে থাকা দায়। চুবানি খেতে হয়। কিন্তু এবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে হওয়ায় প্রাণে বাঁইচা আছি ও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাইছি।

পাথরঘাটা উপজেলার জেলে ইয়াকুব আলী বলেন, এই প্রথম কোনো বন্যার সময় আমরা সাগরে ছিলাম না। থাকলে এবার হয় ডুইবা যাইতাম না হইলে কোথাও ভেসে যেতাম।

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমাদের জেলায় দুর্যোগের কোনো আবহাওয়া অফিস নেই। তাই ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমরা দ্রুত সঠিক পূর্বাভাস পাই না। যার কারণে সমুদ্রগামী জেলেদের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এবার নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে জেলেদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। একজন জেলেও ছিলেন না সাগরে, নিষেধাজ্ঞাই আশীর্বাদ হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: