এক লাইনে সংঘর্ষ থেকে রক্ষা দুই ট্রেন, দেড় ঘন্টা পর চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৪০ পিএম

মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অল্পের জন্য দুটি ট্রেন সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ ছিল। আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে রেলওয়ে জংশন এলাকায় এ দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দেয়। এতে আখাউড়া স্টেশনে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, শশীদল স্টেশন ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ও আজমপুরে স্টেশনে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা আটকা পড়ে। বিকেল সাড়ে চারটার পর কন্টেইনার ট্রেনটি সরিয়ে নিলে ট্রেন স্বাভাবিক হয়।

সরেজমিনে যায়, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফরমে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস দাঁড়ানো। এর পিছনে চট্টগ্রামগামী ৬০৪ নম্বর কন্টেইনার।

প্রত্যক্ষদর্শী সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী জানান একটি ট্রেন আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিল পরে দেখি মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনটিও একই লাইনে ডোকতেছে তখন আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সামান্য অগ্রসর হয়ে মালবাহী কন্টেইনারটি দাঁড়িয়ে যাওয়ায়।অল্পের জন্য অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা হলো। ট্রেনের সহকারী চালক আবু তালহা জানান, সিগন্যাল পেয়েই আখাউড়ায় প্রবেশ করি। এ সময় সামনে ট্রেন দেখে থামিয়ে ফেলি। কাগুজে নির্দেশনা ছাড়াই ট্রেন পিছাতে বলায় আমি রাজি হইনি।

ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) শফিকুল ইসলাম জানান, চালকের সঙ্গে আমিও জরুরি ব্রেক ধরি। তবে, ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি। স্টেশন কেবিন মাস্টার হাইয়ুল ইসলাম বলেন, চালক সিগন্যাল অতিক্রম করে। কেন সেটা তিনি করলেন সেটা আমি জানিনা। পিছিয়ে নিতে কাগজ দেওয়া হলে চালক রাজি হননি। পরে কন্টোল অর্ডার হলে চলাচল শুরু হয়। পিছিয়ে নিতে কাগজ দেওয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: