প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

ইয়ানুর রহমান

যশোর প্রতিনিধি

বাগআঁচড়া দারুল আমান শিক্ষা সদনের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

   
প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, ২৯ অক্টোবর ২০২২

যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার দারুল আমান শিক্ষা সদনের প্রধান শিক্ষক সহ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আফরোজা খাতুন নামের এক অভিভাবক। শনিবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন তিনি লিখিত বক্তব্যে নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন। সম্প্রতি এই অভিভাবকের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের দুই অভিভাবক সহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

লিখিত বক্তব্যে অভিভাবক আফরোজা খাতুন দাবি করেন, তার ছেলে নাফিস মাহদিন স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে অনুদান দিতে অস্বীকার ও কোচিং-এ ভর্তি না করায় নাফিসকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নাম্বার কম দেওয়াসহ শারীরিক নির্যাতন ও নানা রকম হয়রানি করেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার ছেলেকে বহিস্কার করে। পরে মিমাংসা হলে আবারও স্কুলে যাওয়া শুরু করে
নাফিস। তবে ১৩ অক্টোবর পরীক্ষা দিতে গেলে আফরোজা খাতুন ও তার ছেলেকে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক হাবিবুর, ইমরান হোসেন, আশানুর, আব্দুল্লাহ, স্কুল কমিটির সভাপতির ছেলে আহসান কিছু অভিভাবকদের সাথে নিয়ে মারপিট এবং ৩৫ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু প্রকৃত সত্যকে ভিন্ন খাতে নিতে স্কুল কমিটির সভাপতি জামায়াত নেতা মাওলানা আজিজুর রহমানের নির্দেশক্রমে শিক্ষকরা ছাত্র ও অভিভাবকদের লেলিয়ে দিয়ে আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করান। বর্তমানে তার ছেলের লেখাপড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আফরোজা খাতুন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় বাগআঁচড়ায় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় আফরোজার বিরুদ্ধে। অপর দুই অভিভাবক শার্শার রাড়ীপুকুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের স্ত্রী আফিয়া নাসরিন ও ঝিকরগাছার শংকরপুর গ্রামের লাভলুর স্ত্রী ঝুমকা খাতুন দাবি করেন বাগআঁচড়ার গ্রাম্য দন্ত চিকিৎসক নাসির উদ্দিনের স্ত্রী আফরোজা খাতুনের সাথে তাদের তর্কতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আফরোজা খাতুন আফিয়া নাসরিন ও ঝুমকার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর ১১টায় শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: