জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ

ভোলায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকের ঝাঁক ইলিশ। এসব মাছের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি। এসব ইলিশ পেয়ে জেলে ও আড়তদাররা খুশি হলেও সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, যে পরিমাণ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছে তাতে আগামীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, আশ্বিনের অমাবস্যার পর থেকে পূর্ণিমার শুরুর সময়টা মা ইলিশের ডিম ছাড়ার উপযোগী। প্রতিবছর ইলিশের এই প্রধান প্রজনন মৌসুমে নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ বছরও দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার বিরতির পর গত ২৮ অক্টোবর জেলেরা ইলিশ শিকার শুরু করেন। তবে এ সময় নদীতে মা ইলিশের থাকার কথা ছিল না।

ভোলার শফিকুল নামের এক জেলে জানান, আমরা খুব খুশি। এখন দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ মাছ পাইতেছি। পাশাপাশি ১০-১৫ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ পাচ্ছি। এতে আমরা অনেক লাভবান হচ্ছি। তবে ব্যাবসায়ীরা বলছে, এখনো আমাদের জেলেদের জালে যে পরিমাণ মা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, হয়তো অভিযানটা ঠিক সময় হইলে এত মা ইলিশ পাওয়া যেত না। সরকারের উদ্দেশ্য সফল হতো।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি, প্রজনন মৌসুমেই সব মা ইলিশ ডিম ছাড়বে এমন নয়। ইতোমধ্যে যে পরিমাণ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছে সেগুলো রক্ষা করতে পারলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, দেশে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায় তার তিন ভাগের এক ভাগ আসে ভোলা থেকে। ভোলায় এ বছর ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।