কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার জাপান প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। তিনি কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অধীনে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম রিমন বড়ুয়া।
এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জাপান প্রবাসী। তিনি বলেন, বিগত ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। বৈবাহিক জীবন তাদের সুখে-শান্তিতে অতিবাহিত হচ্ছিল। তাদের সংসারে ১৭ বছরের এক মেয়ে ও ১১ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাপানে অবস্থান করার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া। সম্পর্ক গড়াতে গড়াতে একপর্যায়ে তারা অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়। স্ত্রীর সঙ্গে রিমন বড়ুয়ার অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি তার ছেলে-মেয়েরা দেখে ফেলে। মোবাইল ফোনে বিষয়টি তারা বাবাকে জানায়। এরপর প্রবাসী দেশে এসে রিমনকে তার দীর্ঘদিনের সংসার না ভাঙার অনুরোধ করেন। একাধিকবার বলার পরও রিমন বিষয়টি আমলে নেয়নি। উল্টো র্যা বে চাকরি করার সুবাদে তিনি সন্তানসহ সবাইকে ক্রসফায়ারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন।
ওই প্রবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, সর্বশেষ গত ১ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যান। এ বিষয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। দুদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর ৩ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ২২ মার্চ পুনরায় নগদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আমার স্ত্রীকে রিমন ভাগিয়ে নিয়ে যায়। সেই থেকে আমার স্ত্রীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর ১৭ বছর বয়সী মেয়ে বলেন, পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া আমার বাবা ও আমাদের ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা জীবন শঙ্কায় আছি। আমরা কয়েক মাস ধরেই মাকে পাচ্ছি না। আমরা আমাদের মাকে ফেরত চাই। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া বলেন, আমি তাকে ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসে। ভালোবাসার টানে আমরা ঘর বাঁধতে সিদ্ধান্ত নেই। পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছে সে। এ ব্যাপারে মিরপুর ফাঁড়ির ইনর্চাজ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়ার বিষয়টি অবগত আছি। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের স্বামী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: