নবীগঞ্জের পল্লীতে চোরাইকৃত মোবাইলের খনি
নবীগঞ্জের পল্লী থেকে চোরাইকৃত মোবাইলের খনি মিলেছে। ৫০টি দামি মোবাইল উদ্ধার নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। কামারগাও গ্রাম থেকে ৪৫টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকে বলছেন এখানে মোবাইলের খনি পাওয়া গেছে। আরও উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারগন এসব মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দিয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এতো মোবাইল এলো কেমন করে। ওই গ্রামের ভদ্রবেশী রাজমিস্ত্রী চোর মোবাইল ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি ভিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল এনে ৫০% কমিশনে বিক্রি শুরু করেন। ফলে মোবাইল কিনার হিড়িক পড়ে অত্র এলাকায়। পরে পুলিশ যখন জানায় এই গ্রামে চুরিকৃত অনেক মোবাইল আছে। স্থানীয় মেম্বারকে প্রতিটি মোবাইলের আইইএমই ও মোবাইল নাম্বার তালিকা জানায়। মেম্বার ঐ এলাকায় মধ্যে মাইকিং করে এলান দেন, যাদের কাছে চোরাই মোবাইল আছে চেয়ারম্যান মেম্বারে কাছে জমা দেয়ার জন্য। প্রথম একদিনেই জমা হয় ২৮টি মোবাইল পরে পর্যাক্রমে ৫০টি মোবাইল উদ্ধার করেন।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কামারগাঁও রফিক মিয়ার পুত্র হাফিজুর রহমান রাজমিস্ত্রী কাজ করে। সে চাঁদপুর সদরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে। এলাকার মানুষ জানে সে একজন সহজ সরল রাজমিস্ত্রী। সম্প্রতি সে একজন মোবাইল কোম্পানীর সাথে পরিচয় হয়েছে। তাই মোবাইল ব্যবসা শুরু করেছে। সবাইকে ৫০% কমিশনে দামি মোবাইল দিচ্ছে। ১৫দিন পুর্বে তার ভাই আজিজুল ইসলামকে হঠাৎ একদিন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
তিনদিন পূর্বে হঠাৎ তাকে স্থানীয় মেম্বার ইউসুফ আলীর কাছে হাজির হন ডিবি পুলিশ। স্থানীয় মেম্বারকে প্রতিটি মোবাইলের আইইএমই ও মোবাইল নাম্বার তালিকা জানায়। মেম্বার ঐ এলাকায় মধ্যে মাইকিং করে এলান দেন, যাদের কাছে চোরাই মোবাইল আছে চেয়ারম্যান মেম্বারে কাছে জমা দেয়ার জন্য। প্রথম একদিনেই জমা হয় ২৮টি মোবাইল পরে পর্যাক্রমে ৫০টি মোবাইল উদ্ধার করেন।
শনিবার ইউসুফ আলী মেম্বার বলেন, এখন পর্যন্ত কামার গাঁও গ্রাম থেকে ৪৮টি মোবাইল উদ্ধার করেছেন। হাফিজুর রহমান জানায়, চুরির কৌশল নির্ধারণ করতে তিন মাস সময় নেন। তারপর চম্পট দেন মালামাল নিয়ে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার আড়াই মাস পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া বিভিন্ন মডেলের ১০ লাখ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন। বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজার শহর থেকে আলোচিত চোর নবীগঞ্জের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত আড়াই মাস আগে চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইল মেলা নামে একটি শোরুমে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল চালের টিন কেটে শোরুমে ঢুকে ৮০টি দামি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন মোরশেদ আলম। সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক শাহরিন হোসেন চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে তদন্ত শুরু করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরদলের প্রধান হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। হাফিজুর রহমানের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার কামারগাঁও গ্রামে। পেশায় সে রাজমিস্ত্রি। সে চাঁদপুর শহরে থাকতো।
উপ-পরিদর্শক শাহরিন হোসেন জানান, এই চোরকে শনাক্ত করতে একটানা আড়াই মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাতে হয়। এতে সহকারী উপপরিদর্শক তসলিম হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল সহযোগিতা করেছেন। তবে হাফিজুর রহমান বেশ বুদ্ধিমান চোর। এ কারণে তাকে ধরতে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, চুরির ঘটনা স্বীকার করায় হাফিজুর রহমানকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পারভেজ নামে আরেক চোরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছিলেন হাফিজুর রহমানের সহযোগী। থানার পরিদর্শক আরো জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও চোরচক্রের প্রধান বেশ কৌশলী চোর। চাঁদপুর শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইলমেলা নামের শোরুমে চুরির আগে তিনি দীর্ঘ তিন মাস শুধু কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি সফলও হন। কিন্তু অবশেষে তাকে ধরা পড়তে হলো।
নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়া জানান, তিনি অবাক হয়েছেন একজন ছন্মবেশি রাজমিস্ত্রী এতো বড় চোর হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়ার আমার মেম্বার ইউসুফ আলীর মাধ্যমে প্রায় ৫০টি মোবাইল উদ্ধার করেছি। আমাদের উদ্ধার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। একটি গ্রামেই মোবাইল চুরির খনি মেলেছে। কামারগাঁও গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোবাইল মিলেছে।
মেম্বার ইউসুফ আলী বলেন, এতো চুরির মোবাইল আমার ওয়ার্ডে বিক্রি করেছে আমি বিস্মিত হয়েছে। সবাইকে আমি মাইকিং করে বলেছি কারো কাছে হাফিজ চোরের কাছে থেকে মোবাইল কিনে থাকলে দ্রুত ফেরত দিতে, এখন পর্যন্ত ৫০টি মোবাইল উদ্ধার করেছি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: