‘কথা হলো একটাই, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে চাই’

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ০১:৩৮ পিএম

মিজানুর রহমান চুয়াডাঙ্গা থেকে: ‘কথা হলো একটাই, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে চাই’ স্লোগান নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচানোর লক্ষ্যে র‌্যালি, মানববন্ধন ও নদী পরিদর্শন করা হয়েছে। শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন চুয়াডাঙ্গার উদ্যোগে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীর তীর থেকে শুরু হয় র‌্যালি। কোর্ট এলাকা ঘুরে র‌্যালি বড়বাজারের মাথাভাঙ্গা নদী ব্রিজের কাছে শেষ হয়।

প্রায় ১২১ কিলোমিটার দৈঘ্যের মাথাভাঙ্গা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তসীমান্ত নদী। এটি কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এ মাথাভাঙ্গার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এ নদীতে সারা বছরই নিজস্বভাবে স্রোত বয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী এ মাথাভাঙ্গা নদীর পানি দ‚ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন এলাকার বর্জ্যসহ প্রতিদিন হাজার হাজার টন আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এই নদীতে। ফলে মাথাভাঙ্গা নদীর স্বচ্ছ পানি দিন দিন আরও দূষিত হয়ে উঠছে। নদীটি ইদানিং নাব্যতাও হারিয়ে ফেলে আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এ নদীর পানির প্রবাহ আগের মতো নেই।

মাথাভাঙ্গা নদীর দখল-দূষণ বন্ধে এবং নদীর অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান এবং কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে দাবিতে শহীদ হাসান চত্বরে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন, চুয়াডাঙ্গা এর সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, হাবিবি জহির রায়হান প্রমুখ। পরে বক্তৃতা করেন মাথাভাঙ্গা নদীর দখল-দূষণ পরিদর্শন করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্তরা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: