প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

মোঃ মনিরুজ্জামান

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

আগামীকাল ভূরুঙ্গামারী হানাদার মুক্ত দিবস

   
প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, ১৩ নভেম্বর ২০২২

আগামীকাল সোমবার, ১৪ নভেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পাকহানাদার মুক্ত হয়। দেশের প্রথম হানাদার মুক্ত উপজেলা এটি। তথ্যমতে, ৬ নং সেক্টর কমান্ডার এম কে বাশার, মিত্রবাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জোসিসহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সাহেবগঞ্জ সাব সেক্টরে সমবেত হন এবং ভূরুঙ্গামারী আক্রমণের পরিকল্পনা করেন।

এসময় ভারতীয় ষষ্ঠ মাউন্টেন ডিভিশনের একটি ব্রিগেড এবং বিএসএফের কয়েকটি কোম্পানী ও মুক্তিযোদ্ধারা সামরিক সজ্জায় সজ্জিত হয়ে ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ দিক খোলা রেখে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিক থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সিন্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক ১৩ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে পাকবাহিনীর ওপর প্রবল আক্রমন শুরু হয়।

অবশ্য এর একদিন আগে থেকেই মিত্রবাহিনী কামান ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপসহ মিত্রবাহিনী বিমান হামলা শুরু করেছিলো। ১৩ নভেম্বর সারারাত যুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর প্রবল আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হঠে এবং নাগেশ্বরী উপজেলা রায়গঞ্জ নদীর তীরে আশ্রয় নেয়। পাকবাহিনী পিছু হটলে ঐদিন ভোরে মুক্তি বাহিনীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সিও অফিসের সামনে (বর্তমান উপজেলা পরিষদ) চলে আসে এবং বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করে।

সেখান থেকে আটক করা হয় ৩০/৪০ জন পাক সেনা। এবং একটি কক্ষ থেকে ১৬ জন বীরাঙ্গনাকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৫/৬ জন বীরাঙ্গনা গর্ভবতী ছিলেন। প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে থাকে।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: