শর্তে জামিন পেয়েছে কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাস

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের ঝুমন দাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করার শর্তে জামিন পেয়েছেন। সে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের গুপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস। রোববার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝুমনের স্ত্রী সুইটি রাণী দাস। তিনি জানান,এর আগেও জামিনে কিছু সর্ত দিয়েছিলেন আদালত এবারও সর্ত দিয়েছিলেন। আমরা এখন বাকী আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি।
জানাযায়,সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের নবরত্ন মন্দিরের গেটে ঝোলানো মসজিদের দানবাক্সের একটি ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হেঁটে দেশ পরিভ্রমণে নামা এক ব্যক্তি ছবিটি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবিটি গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার হয় ঝুমন দাস।
এর পর গত ৩০ আগস্ট সকালে ঝুমন দাসকে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট শেয়ার দেয়ার অভিযোগে থানা হেফাজতে নেয় সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের কাছে ঝুমন দাসের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
এসময় তার জামিন আবেদন নাকচ করে আবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ বহাল রাখেন বিচারক। এর আগে গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‘শানে রিসালাত সম্মেলন’ নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন।
এই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ঝুমন দাস। স্ট্যাটাসে তিনি মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। পরদিন কয়েক হাজার লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে হামলা চালায় নোয়াগাঁও গ্রামে। তারা ঝুমন দাসের বাড়িসহ হাওরপারের হিন্দু গ্রামের বাড়ি, মন্দির ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এরপর ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম। ঝুমন গ্রেপ্তার হওয়ার ছয় মাস পর গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: