জন্মদিনে কেনো প্রশংসায় ভাসছে এসপি শহীদুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২২, ১১:৪৯ পিএম

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার এসপি মোঃ শহীদুল ইসলাম পিপিএম জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছে। রীতিমত হইচই পড়ে গেছে ফেসবুক, টুইটারে। অনলাইনে ঢুঁ মারলেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও উইশ চোখে পড়ার মত।কেউ কেউ বলছেন ভালোকে ভালোই বলবো। এসপি স্যার ভালো কাজ করেন তাই উইশ করেছি। তবে জেলার অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের আরোও দায়িত্বশীল হবার আহ্বান জানান অনলাইন নেটিজেনরা। জেলা এসপির দায়িত্বশীল কাজ থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা নিয়ে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের কাজ করার উদাত্ত আহ্বান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।নোয়াখালীর রিয়েল হিরো ও একজন আদর্শবান এসপি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অনলাইনে সক্রিয় নেটিজেনরা।

বিগত কয়েক বছরে নোয়াখালী জেলায় অপরাধ ও খুনাখুনিতে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছে।ক্ললেস বিহীন মার্ডার,আলোচিত ঘটনা শিশু তাসপিয়াকে ৫২টি স্পিন্টারের আঘাতে হত্যা, নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে সদর, কবিরহাট, তৃতীয় ধাপের সেনবাগ, দ্বিতীয় ধাপের বেগমগঞ্জ ও প্রথম ধাপের সুবর্ণচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও অন্যান্য পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারগণ নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ, পুলিশের নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারী, সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রয়োগে উৎসাহিত ও সর্বোপরি সুস্থ ভোটের পরিবেশ তৈরি করা, ২০২১ সালে অক্টোবরে চৌমুহনী এলাকার অন্তত ১১টি পূজামণ্ডপ ও ৬টি মন্দিরে একযোগে হামলা, বেগমগঞ্জের ছয়ানীতে একটি পূজামণ্ডপ, একটি কালি মন্দির ও দুর্গাপুরে একটি পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর চালানো চৌমুহনীর ওই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞে দুজনের প্রাণহানিসহ লুটপাটে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করাসহ আসামিদের গ্রেফতারে সাফল্য অর্জন,কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম্যরোধ, ধর্ষণ বৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি, দিনে-দুপুরে স্কুল ছাত্রী অদিতা হত্যার রহস্য উদঘাটন, অস্ত্রসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাং ও বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার পরোয়ানা আসামি গ্রেফতার, জেলায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে বিচক্ষণতায় পরিচয়, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশের সেবা জেলার সর্বস্তরের মানুষের মুখে-মুখে জেলাবাসীর প্রশাংসা কুড়িয়েছেন এসপি মোঃ শহীদুল ইসলাম পিপিএম।

তবে নোয়াখালী জেলার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ শারদীয় দুর্গোৎসব হওয়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ভূয়সী প্রশংসা চাউর হয়েছে। শান্তি বিরাজ করছে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে।

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় উপল দাস নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডিতে লিখেছেন, এমন পুলিশ সুপার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। যিনি দিন-রাত এক করে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। পুলিশ ছাড়া এক মিনিট কল্পনা করেন সমাজে কি হতে পারে।স্যার আপনাকে স্যালুট। এ রকম এসপি প্রত্যেক জেলায় জেলায় থাকা উচিত। যাতে অন্য পুলিশ সদস্যরা অনুপ্রেরণা পায়।

লাবিবা নামে এক ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী লিখেছেন, যেভাবে নোয়াখালীতে সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমরা ভয়ে থাকতাম।স্কুলে যেতেও ভয় লাগতো।তবে এখন পুলিশের নিরাপত্তা দেখে আমরা সাহস পাই।স্কুলের সামনে রাস্তা ঘাটে গোয়েন্দা পুলিশ টহল দেয়।নোয়াখালী এসপি স্যারকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমাদের নিরাপত্তা বাড়ানো জন্য।স্যারের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি আমাদের নোয়াখালীবাসীর জন্য গর্ব।

আজিজ আল কায়সায় নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রবাসে থেকে লিখেছেন, আমরা প্রবাসে থাকি। দেশে বাবা-মা,স্ত্রী,ছেলে-মেয়ে আত্মীয় স্বজনেরা থাকে। আগের থেকে নোয়াখালীতে এখন সন্ত্রাস অনেকটাই কমেছে। পুলিশের তৎপরতা সামনে আরোও বাড়বে আমরা আশাবাদী। আমরা থাকি প্রবাসে আত্না থাকে বাংলাদেশে। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম স্যারের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি নোয়াখালী জেলাকে নিয়ে ভাবেন চিন্তা করেন।কিভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়। শুধু পুলিশকে দোষারোপ করলে হবে না স্ব স্ব জায়গা থেকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হলে সমাজে অপরাধ কমে যাবে।এসপি স্যারকে আবার স্যালুট জানাই উনার ভালো ভালো কাজগুলোর জন্য। সত্যিই তিনি নোয়াখালীবাসীর রিয়েল হিরো।আইনের রক্ষক।

গেলো বছরের (১১ জুলাই) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা দপ্তর পুলিশ শাখা ১-এর এক প্রজ্ঞাপনে এই দায়িত্ব দেয়া হয়।এর আগে তিনি সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকাতে) দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালন করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: