আটার দাম কেজিতে বাড়ল ৬ টাকা

ছবি: সংগৃহীত
বাজারে আটার দাম আবারও বেড়েছে। প্যাকেটজাত ও খোলা দুই ধরনেই আটা আগের চেয়ে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকটি বিপণনকারী কোম্পানি আটার দুই কেজির প্যাকেটের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১৪৪ টাকা, যা আগের চেয়ে ১২ টাকা বাড়তি। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ টাকা।
ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে নতুন দামে আটা বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার দামও বাজার ভেদে আগের চেয়ে ৪ থেকে ৬টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এ নিয়ে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এক বছরে প্যাকেটজাত আটার দাম ৬৩ ও খোলা আটার দাম ৮১ শতাংশ বেড়েছে। দেশে গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আটার দাম লাফিয়ে বাড়ছে। বাংলাদেশের গমের বড় উৎস ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। ভারত থেকেও আমদানি বাড়ছিল। যদিও ভারত রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। বিশ্ববাজারে দামও বাড়তি।
দেশে গম আমদানিও কম হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ কারণে অক্টোবরের শেষ দিকে আটার মিলগুলো থেকে সরবরাহ কমে যায়। এখন সরবরাহ পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে দাম বাড়ছে। গত অক্টোবর মাসেও প্রতি দুই কেজির আটার প্যাকেটের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ১২৬ টাকা। এখন সেটা সর্বোচ্চ ১৪৪ টাকা। গমজাত পণ্যগুলোর দামও বাড়তির দিকে। এমনকি গোখাদ্য গমের ভুষির দামও বেড়েছে। কোম্পানি ভেদে বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে ভুষি।
রাজধানীর মহাখালী কাচাবাজারের ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, বাজারে খোলা আটার সংকট এখনো কাটেনি। এর মধ্যে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়ে গেছে। আমাদেরকে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও বেশিতে করতে হচ্ছে। রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা গৃহিনী রাবেয়া বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই কেজির প্যাকেট ১২ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। শুধু আটা নয়, তেল ডিমের দামও বেড়ে গেছে।
ইমদাদ/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: