বান্ধবীকে ৩৫ টুকরো করেই ক্ষান্ত হননি, বাসায় এনেছিলে নারীদেরও

আফতাব আমিন পূনাওয়ালা। ২৮ বছরের এই যুবক তাঁর বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (২৬) হত্যার পর ৩৫ টুকরো করে রেখেছিলেন রেফ্রিজারেটরে। এরপর ১৮ দিনে প্রতিদিন দুই টুকরো করে দাফন করেছেন দিল্লির মেহেরুলি বনের বিভিন্ন স্থানে। এখানেই থেমে থাকেননি। দেহের টুকরো রাখা অবস্থায়ই ফ্ল্যাটে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আফতাব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে—শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের প্রায় ৩ বছরের সম্পর্ক ছিল। মুম্বাইয়ে শুরু হওয়া সেই সম্পর্ক শেষ হয় দিল্লিতে এসে। শ্রদ্ধার এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। চলতি বছরের এপ্রিলে দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন আফতাব এবং শ্রদ্ধা।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে হত্যার ১৫ থেকে ২০ দিন পর আফতাব একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আরও এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। শুরু করেন ডেটিং। আফতাব তাঁর নতুন প্রেমিকাকে প্রায়ই তাঁর বাসায় ডেকে আনতেন। তখনো শ্রদ্ধার দেহের খণ্ডিতাংশ আফতাবের বাসার রেফ্রিজারেটরে রয়ে গিয়েছিল। কেবল তাই নয়, শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে শ্রদ্ধার বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে, পোস্ট দিয়ে তাঁর বন্ধুদের চোখে ধুলো দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্যানুসারে, শ্রদ্ধাকে হত্যার পর আফতাব তাঁর দেহকে কেটে টুকরো টুকরো করে প্রথমে রেফ্রিজারেটরে রেখেছিল। কিন্তু নতুন প্রেমিকার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর রেফ্রিজারেটর থেকে শ্রদ্ধার দেহের খণ্ডিতাংশ বের করে একটি আলমারিতে রাখেন। পুলিশের বক্তব্য অনুসারে, শ্রদ্ধাকে হত্যার আগে আফতাব গুগলে কীভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে হয় এবং মানুষের শরীরের অঙ্গসংস্থান সম্পর্কে সার্চ করেছিলেন।
না.হাসান/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: