প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

হাসান আল সাকিব

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুরে ভূয়া গ্রেপ্তারী পয়োয়ানার নামে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

   
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, ১৬ নভেম্বর ২০২২

রসিক নির্বাচনে এক সম্ভাব্য প্রার্থীকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে ভূয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানার নামে হয়রানির প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছেন মহানগরের ২নং ওয়ার্ডবাসি। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে ২নং ওয়ার্ডের অভিরাম মনোহার বাজারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মনোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল আলম, মনোহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ, সাবেক কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জা, সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আদালতে মামলা না থাকলেও তিন জেলার আদালত থেকে আসা অপহরণ ও হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন আমাদের ২নং ওয়ার্ডের এক সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সাতজন‌ নিরিহ মানুষ। রসিক নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমানে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম সরোয়ার মির্জাসহ অন্য আরও সাতজনকে ভূয়া মামলায় জড়িয়ে হয়রনি করছে একটি কুচক্রীয় মহল। যে মামলার কোন অস্তিত্ব নেই আদালতে বলেও উল্লেখ্য করেন ভুক্তভোগীরা। তাই এই চক্রকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন তারা।

ভুক্তভোগী রংপুর সিটি করপোরেশন দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমানে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম সরওয়ার মির্জা বলেন, সম্প্রতি পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তিনি এবং তার কর্মী অহেদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, ওলিউল্লাহ চাঁদ ও ফরিদুল ইসলামের নামে অপহরণ মামলার একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ আসে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজির হাট থানায়। এ ছাড়া ভোলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে একই ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলার একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ আসে হাজির হাট থানায়।

তিনি আরও বলেন, গত দশ দিন‌ আগে আগেও হাজির হাট থানায় টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে রাজনৈতিক কর্মী হিরণ চন্দ্র রায়ের নামে পৃথক আরেকটি হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ আসে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট তিন আদালতে সরেজমিন খোঁজ নিয়েছি, কিন্তু আমাদের কারোর বিরুদ্ধেই এমন কোনো তথ্য নেই আদালতে। এ সংক্রান্ত কোনো মামলার অস্তিত্বও নেই।’

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমি একজন কাউন্সিলর প্রার্থী।

আগামী ২৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন হওয়ায় মামলা সংক্রান্ত ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। যেন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আমি বাদ পড়ে যাই মামলার কারণে। আমার ধারণা, প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউ এমন ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বানিয়ে আমাদের হয়রানি করতে এসব করছেন।

এ বিষয়ে পরিত্রাণ চেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর আমরা একটি আবেদন দিয়েছি। আশা করছি পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে সমাধান করবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।’ মানববন্ধনে দলমত নির্বিশেষে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: