কেরানীগঞ্জে মাদকের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করায় তিন পুলিশ ক্লোজড

নাসির উদ্দিন টিটু, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জে বিনা পোশাকে অভিযানে গিয়ে মাদক দিয়ে চালান দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা নেয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার চর কালীগঞ্জ তেলঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত কনস্টেবল আল-আমিন, কনস্টেবল নিশাত ও কনস্টেবল ইমরান। তবে এ ঘটনায় এএসআই জহিরুলের নাম আসলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান এর নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এই তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ঐ তিন কনস্টেবল গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আগানগর মিয়াজউদ্দিন রোড দিয়ে যাওয়ার সময় শামীমকে জোরপূর্বক একটি মাংসের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে তল্লাশির নামে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক পকেটে থাকা ৬০হাজার টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাতে চুনকুটিয়া বেবি স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আতিকের পকেটে কৌশলে একটি গাঁজার পুরিয়া ঢুকিয়ে গ্রেফতার করে তেলঘাট ক্যাম্পে নিয়ে যায় এ এস আই জহিরুল। ক্যাম্পে নিয়ে আতিককে তল্লাশি চালিয়ে তার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নেয় জহিরুল ও তার সঙ্গীও ফোর্স। পরবর্তীতে আতিকের মা চম্পাকে ফোন করে ছেলেকে ছাড়ানোর জন্য টাকা-পয়সা নিয়ে ক্যাম্পে আসতে বললে, চম্পা রাত চারটার দিকে বিশ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন।
সোমবার মাংসের দোকানে ঢুকিয়ে রবিনের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া ও বৃহস্পতিবার আতিককে ক্যাম্পে নিয়ে টাকা-পয়সার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া ছাড়াও জহিরুলের নামে বেশ কিছু অভিযোগ থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিবেদনটি প্রচারের পর, তা আমলে নিয়ে ওই তিন পুলিশের সদস্যকে সাময়িকভাবে ক্লোজ করে ঢাকা পুলিশ লাইনের সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিবি) মোবাশ্বেরা হাবিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: