নাগেশ্বরীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ভোক্তা তালিকায় নয়-ছয়ের অভিযোগ!

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৬:২৯ পিএম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির উপকারভোগীর তালিকায় নয়-ছয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ২০১৬ সালে হতদরিদ্রের জন্য চালু হয় এ খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি। এর আওতায় উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নে উপকারভোগি ১৫৮৫ জন। পরিবার প্রতি তাদের স্বল্পমুল্যে মাসে ৩০ কেজি চাউল দেয়া হয়। ডিলার মারফৎ কার্ডের মাধ্যমে এ চাউল সরবরাহ করা হয়।

এ বছর ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা হয় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি। সেখানে বাদ দেওয়া হয় হাসনাবাদ ইউনিয়নের অনেক উপকারভোগীর নাম। তাদের পরিবর্তে চেয়ারম্যান নুরম্নজ্জামান সরকার তালিকাভুক্ত তার পছন্দের ব্যাক্তিদের। বিষয়টি জানতে পেয়ে বাদপড়া উপকারভোগী ৭ নং ওয়ার্ডের বুড়িরছড়া হাজীপাড়ার হোসেন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, তছর উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের মনিয়ার হাটের মন্তাজ আলীর ছেলে ওমর আলী, ৫ নং ওয়ার্ডের শিংগের ভিটার আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রহমানসহ ২৬৬ জন ইউনিয়ন পরিষদে বিক্ষোভ করেন। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম। গত ২৭ অক্টোবর তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তথ্য ও অভিযোগ শাখা হতে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরম্নজ্জামান সরকার জানান, যারা বাদ গেছে তারা আগে হতদরিদ্র ছিল কিন্তু এখন স্বচ্ছল। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল আহাদ জানান, আমি কয়েকদিন ধরে ছুটিতে আছি। রবিবার অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: