আয়াতের হাসি-দুষ্টুমি এখন শুধুই স্মৃতি

চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় থেকে বেশ কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হয় আয়াত নামের একটি শিশু। পরিবারকে সব সময় হাসি-খুশি দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখতো। ৯ দিন পর আয়াতের খোঁজ মিলেছে। তবে এখন আর সে বাড়ি হাসি-খুশি দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখবে না।
ছোট্ট আয়াতকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করেছেন এক পাষণ্ড। এরপর থেকে ফের ভারী হয়ে উঠেছে বাড়ির পরিবেশ। মেয়ের শোকে অনবরত চিৎকার ও বিলাপ করছেন মা তামান্না খাতুন। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এমনই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের দেখা মেলে আয়াতের বাড়িতে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, আয়তকে অপহরণ করে তাদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। অপহরণের সময় সে ডাক-চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তাকে ৬ টুকরো করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা কাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে আটক করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপরই খুলে ঘটনার জট। আবির ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবির আলী জানান, হত্যার পর আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করা হয় আয়াতের লাশ। এরপর ফেলে দেওয়া হয় সাগরে। লাশ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা হয় বটি ও অ্যান্টি কাটার। শুক্রবার সকালে আয়াতের বাসায় যায় পিবিআই ও সিআইডির পৃথক দল। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন তারা।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।
তুহিন/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য: