আরপিওর সংশোধনে অগ্রগতি জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে সময় বেধে দিলো ইসি

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান সংশোধনের খসড়া দীর্ঘ তিনমাস ১৫ দিনের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোনো সাড়া না পেয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আগামী মাসের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ- সচিব আব্দুল হালিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা যায়।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান,ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ইভিএমে ভোটদানের ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় প্রিজাইংডিং কর্মকর্তার আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ব্যালট ইউনিট ওপেন করার ব্যবস্থাটি আরপিওতে অন্তুর্ভূক্ত করতে চাচ্ছে ইসি। পাশাপাশি বেশকিছু বিষয়ে আইনের সংস্কার চায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর আগে তিনবার পত্রযোগে অগ্রগততি জানতে চেয়েছিল সাংবিধানিক এ সংস্থা। কোনো জবাব না পেয়ে চতুর্থবারে অগ্রগতি জানাতে সময় বেধে দিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
আব্দুল হালিম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ – ১৯৭২ এ কিছু সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আরপিও সংশোধন খসড়া বিল প্রস্তুত করে গত ০৮ আগস্ট তা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ সমযয়ে খসড়া বিলটি নিয়ে কোনো ব্যবস্থানা নেয়ায় অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জরুরি পত্র দ্বারা বিষয় নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত না করায় পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনকে অবগত করার জন্য পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় উক্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে এখন পর্যন্ত অবহিত করা হয় নাই। আরপিওর সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আগামি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবগত করার জন্য শেষবারের মত বিশেষভাবে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান মতে দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং উহার লেজেসটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ রাষ্ট্র ও সরকারের নির্বাহী বিভাগের একাংশ। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা ইহার সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব।
নির্বাচন কমিশন মনে করে,সংবিধান ও আইনের সুষ্পষ্ট বিধানের ব্যত্যয়ে কমিশনের যাচিত অনুরোধ ও চাহিদা উপেক্ষিত হলে কমিশন স্বীয় দায়িত্ব পালনে আবশ্যক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। এতে নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের সক্ষমতা, স্বাধীনতা এবং সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নে জনমনে অনাকাঙ্খিত সংশয়ের উদ্রেক হতে পারে।
ইমদাদ/সাএ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: