প্রচ্ছদ / জেলার খবর / বিস্তারিত

ধর্মঘটের কারণে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ, যাত্রীদের দুর্ভোগ

   
প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, ২৭ নভেম্বর ২০২২

নাসির উদ্দিন টিটু, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার টাকা,নৌ পথে ডাকাতি বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন নৌ শ্রমিকরা। ধর্মঘটের কারণে ঢাকার কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চাদপুর, ভোলা ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।

জরুরী কাজে ঢাকা শহরে আসা লোকজন সকাল থেকেই দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে দীর্ঘ সময় ধরে লঞ্চের অপেক্ষায় বসে আছে। বিকেল গড়াতেই যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। পরিবার-পরিজন, অসুস্থ রোগী, বিভিন্ন মালামাল সহ দক্ষিণাঞ্চলগামী হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করে সদরঘাট নৌবন্দরে। সবার একটায় জিজ্ঞাসা হঠাৎ করে কেন এ ধর্মঘট।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধর্মঘটের জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো টার্মিনাল থেকে সরিয়ে নদীর মাঝখানে নোংঙ্গর করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ও বালুবাহী বাল্কহেডসহ সব ধরনের নৌযান। এছাড়া নৌ ধর্মঘটকে পুঁজি করে একশ্রেণীর অসাধু পরিবহন ব্যবসায়ীরা কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপে করে চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রী পরিবহন করছে। এতে করে দুর্ঘটনা আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, সকালে চাঁদপুর থেকে লঞ্চে করে এসে পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার জন্য দুপুরে লঞ্চঘাটে এসে দেখি ধর্মঘট চলছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে এখন যাত্রাবাড়ী গিয়ে গাড়িতে করে যেতে হবে।

চার বছরের ছেলে রায়হান ও সাত বছরের মেয়ে সামিয়াকে নিয়ে ভোলায় নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে লঞ্চঘাটে এসে দেখে ধর্মঘট চলছে। ফাতেমা জানান আমার স্বামী দিনমজুর বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাই ছেলেমেয়ে নিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছি। কিন্তু লঞ্চ ধর্মঘট থাকায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাটে বসে আছি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

লঞ্চ ধর্মঘট প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল জানান, ১০ দফা দাবি ন্যায্য দাবি হওয়ায় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করব মালিকপক্ষ দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেবে।

ঢাকা নদীবন্দর নৌযান চলাচল ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক আওলাদ ১০ লঞ্চের মালিক আওলাদ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের ধর্মঘট সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, ২০ হাজার টাকার মজুরি দাবি করা হয়েছে। তবে তাদের খোরাকি, যাতায়াত ভাতা,কেবিন কমিশন সহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিশ হাজার টাকার উপরেই তাদের বেতন পড়ে। তাদের এই অযৌক্তিক ধর্মঘটনের জন্য আজকেই আমরা কমিটির অন্যান সদস্যদের নিয়ে মিটিংয়ে বসতে যাচ্ছি।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: