১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে বাঁধা দেয়া হবেনা: ওবায়দুল কাদের

খেলা হবে, হবে খেলা, খেলা হবে ডিসেম্বরে, খেলা হবে ভোটে, খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে, খেলা হবে হাওয়া ভবেনের বিরুদ্ধে, খেলা হবে হাজারকোটি টাকা বিদেশে পাচার কারীদের বিরুদ্ধে, খেলা হবে সন্ত্রাসী ও দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে। দেশে আর ১৫ ফেব্রুয়ারী মার্কা নির্বাচন হবেনা। সুষ্ঠ ভোট হবে।
উস্কানি দেবে না, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে বাধা দেয়া হবে না, কিন্তু যদি হামলা করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগ বসে বসে লোলিপো চুসবেনা, আওয়ামীলীগ এখনো মাঠ ছেড়ে যায়নি, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিনাজপুর গোর- এ শহীদ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগষ্ট হত্যা কান্ডের মাষ্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান, আর ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মাষ্টার মাইন্ড হলেন তারেক রহমান। ১৫ আগষ্টের হত্যা কান্ড কারবালাকে হারমানায়। দেশে অনেক রাজনৈতিক হত্যা কান্ড রয়েছে। কিন্তু কোন দিন শিশু নারী ও গর্ভধারকারী মায়েদের উপর টার্গেট করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগষ্ট তাও কার হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে স্বাধিনতার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, ঘোষক আর পাঠক এক জিনিস নয়। পাঠক হচ্ছে পাদটীকা। ১০ ডিসেম্বর কোন বিএনপি সমাবেশকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নাকি ছাত্রলীগের সমাবেশ ডাকা হয়েছে। তাই শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সমাবেশ এগিয়ে নিয়ে ৮ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৬ ডিসেম্বর করেছেন। এটা আওয়ামী লীগের দূর্বলতা নয়, শেখ হাসিনার উদারতা। আর শেখ হাসানার উদারতার কারণে খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে জেলখানায় না থেকে বাসায় রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের এ সময় মোটর পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও মালিকদের প্রতি ১০ ডিসেম্বর কোন প্রকার ধর্মঘট যাতে না ডাকা হয় সে জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, পদ না থাকলে ছোট বড় কেউ দাম দেয়না, ছোটরা যদি বড়দের সম্মান না করেন, তাহলে এক সময় ছোটরা বড় হলে তারাও সম্মান পাবেননা। এটাই নিয়ম। ক্ষমতা স্থায়ী নয়, জোয়ার ভাটা কখন আসে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। দেশের মানুষ কষ্টে আছেন এ চিন্তায় শেখ হাসিনার রাত-দিন সমান হয়ে গেছে। তিনি রাত দিন দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা ঘুমান। তাই তিনি একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় পাননা। ৭৫ পরবর্তী শেখ হাসিনার মত সৎ সরকার প্রধান আর আসেনি। বিশ্বের অনেতক ধনি দেশ এখনো করোনার ভ্যাকসিন দিতে পারেনি, কিন্তু শেখ হাসিনা ফ্রি ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছেন।
এ সময় তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দ্যেশ করে বলেন, জনসভা কাকে বলে আসেন, দিনাজপুরে দেখে যান। নাটক করেন, তিনদিন আগে খেতা, বালিশ কয়েল নিয়ে এসে সমাবেশ করছেন। কেউ কেউ আবার মুশারিও নিয়ে আসছেন।
দিনাজপুরে আসেন পদ্মা সেতুর সরকার, মেট্রোরেলের সরকার, ফ্লাইওভারে সরকার, বঙ্গবন্ধু টার্নেলের সরকার, উন্নয়নের সরকার বার বার দরকার স্লোগান শুনে যান, তাহলে আর খেতা,বালিশ কয়েল মুশারি নিয়ে সবাবেশ করতে হবেনা।
তিনি বলেন, সার বিশ্বে সব দেশে যে ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, আমাদের দেশেও সেভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। দেশে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে।
কাউন্সিলে দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ছাড়াও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোঃ হাছান মাহমুদ এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, হুইপ ইবকালুর রহিম এমপি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, শিবলী সাদিক, মহিলা এমপি জাকিয়া তাবাসসুম জুঁইসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: