সাত দফা দাবিতে না.গঞ্জে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৭ পিএম

শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি বিশ হাজার টাকা ও মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ বারো লক্ষ টাকা নির্ধারণসহ সাত দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহীসহ সব ধরণের নৌযান বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সাধারণ নৌ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন তারা। সারা দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের নৌযান শ্রমিকরা এই কর্মসূচী পালন করছেন।

নৌযান শ্রমিকদের আরও বারোটি সংগঠন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে নদী পথে চলাচলকারি প্রায় দেড় হাজার কোস্টার ট্যাংকার জাহাজ, তিন হাজার বালুবাহি বাল্কহেড ও পাঁচটি রুটে সত্তুরটি যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল বন্ধ পুরোপুরি রয়েছে।

সাধারণ শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, শ্রমিকদের বর্তমান সর্বনিম্ন মজুরি ৭ হাজার ৭শ' টাকা ও মৃত্যুকালিন ক্ষতিপূরণ ২ লাখ টাকা নির্ধারণ রয়েছে। তবে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ বিভিন্ন সময়ে মজুরি ও মৃত্যুকালিন ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি করবে বলে বার বার আশ্বাস দিয়েও শ্রমিকদের মজুরি ও মৃত্যুকালিন ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবি মেনে নিচ্ছেন না। বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষের কাছে দবি করা হলেও শ্রমিকদের ভারতের ল্যান্ডিং পাশও প্রদান করা হচ্ছে না। এছাড়া নৌপথে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি বন্ধ, চট্রগ্রামের চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, সারা দেশে সকল নদীবন্দরের আশপাশে জাহাজ নোঙর করার নির্দিষ্ট স্থান পোতাশ্রয় নির্মান ও বালুবাহি বাল্কহেডে ইজারাদারদের হয়রানি বন্ধসহ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান শ্রমিকরা। অন্যথায় কর্মবিরতিসহ অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নৌযান শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ সিকদার বলেন, ২০১৫ সালে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা ছিল। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে আরও সতেরো মাস অতিবাহিত হলেও মালিকপক্ষ ও সরকার এ ব্যাপারে আর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যে কারণে শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচী অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: